পুরস্কারটা যে জসপ্রীত বুমরাহর হাতেই উঠবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। আজ সেটিই নিশ্চিত হলো আজ।
২০২৪ সালের শেষ মাসে বল হাতে দারুণ সময় কাটিয়েছেন বুমরাহ। ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারত সিরিজ হেরে এলেও বুমরাহ ছিলেন একদম আলাদা। শেষদিকে চোটে কাবু হলেও ডিসেম্বর মাসে ৩ টেস্টে ১৪.২২ গড়ে ২২ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় পেসার। আর ৫ টেস্টের সিরিজে নিয়েছেন ৩২ উইকেট। যা ভারতীয় পেসারদের মধ্যে এক সিরিজে নেওয়া সর্বোচ্চ। বছর জুড়ে বুমরাহ ১৩ টেস্টে ১৪.৯২ গড়ে নিয়েছেন ৭১ উইকেট।
বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের একদম শুরু থেকেই বুমরাহ ছিলেন বিধ্বংসী। অ্যাডিলেডে টেস্টে তার ৪ উইকেটের ধাক্কায় অস্ট্রেলিয়ার লিড বড় হয়নি। এরপর ব্রিসবেন টেস্টে অজিদের প্রথম ইনিংসে বুমরাহ নেন ৬ উইকেট। যে কারণে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ। দ্বিতীয় ইনিংসে নেন আরও ৩ উইকেট। অর্থাৎ ওই টেস্টে ৯ উইকেট নেন তিনি। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটির ফলাফল ড্র হওয়ার পেছনে বুমরাহর ওই বোলিংয়ের বড় ভূমিকা ছিল।
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ তথা বক্সিং ডে টেস্টে ফের একবার বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স উপহার দেন বুমরাহ। মেলবোর্নে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসে নিজ দলের বাকি বোলারদের ব্যর্থতার মাঝেও তিনি নেন ৪ উইকেট। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ২৩৪ রানে থামিয়ে দেন তিনি। তবে তার এত দারুণ বোলিং সত্ত্বেও ভারত ১৮৪ রানের বড় ব্যবধানে হারে।
ভারতের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফর বরাবরই চ্যালেঞ্জিং। এমন কঠিন সিরিজে ভারতীয় দলের মধ্যে সেরা পারফর্মার বুমরাহ। শুধু কি তাই, সিরিজেরই সেরা পারফর্মার তিনি। নির্বাচিত হয়েছেন সিরিজ সেরা। এই সিরিজে নিজের ২০০তম টেস্ট উইকেতের দেখা পান তিনি। ইতিহাসেই প্রথম বোলার হিসেবে ২০-এর চেয়ে কম গড় নিয়ে ২০০ উইকেটের মালিক হয়েছেন তিনি। এসব কারণে আইসিসির বিচারে ডিসেম্বর মাসের সেরা হয়েছেন বুমরাহ।
অন্যদিকে মেয়েদের মাসসেরা হয়েছেন অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার পেছনে ফেলেছেন ভারতের স্মৃতি মান্ধানা ও দক্ষিণ আফ্রিকার ননকুলুলেকো এমলাবা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
এমএইচএম