বাকি দলগুলোর মতো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ধুঁকছে বাংলাদেশের ব্যাটিং। কেবল মমিনুল হকের ফিফটি ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৪০ রানের ইনিংস ছাড়া কেউ খেলতে পারেননি উল্লেখযোগ্য ইনিংস।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃষ্টির চোখরাঙানির মধ্যেই টস জিতে বাংলাদেশ। শান্ত সিদ্ধান্ত নেন আগে ব্যাট করার। মাঠে নেমে শুরুটা দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসানের বদলে সুযোগ পাওয়া মাহমুদুল হাসান জয়।
উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেন ৩১ রান। বোলিংয়ে এসেই এই জুটি ভাঙেন ভিক্টর নিয়াউচি। নবম ওভারের চতুর্থ বলে টাইমিং ঠিকঠাক করতে না পেরে ব্রায়ান বেনেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাদমান। ১২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। নিজের পরের ওভারে জয়কেও তুলে নেন নিয়াউচি। তার বল উইকেটরক্ষকের হাতে তুলে দিয়ে ১৪ রানে ফেরেন বাংলাদেশি ওপেনার।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর মমিনুলের সঙ্গে ফিফটি রানের জুটি গড়ে লাঞ্চে যান শান্ত। লাঞ্চের পর জুটিটি যায় ৬৬ রান পর্যন্ত। শান্তকে বিদায় করে এই জুটি ভেঙে দেন ব্লেসিং মুজারাবানি। অফ স্টাম্পের বাইরে দেওয়া বল বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ তুলে দেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ফেরেন ৬৯ বলে ৪০ রান করে। পাঁচে নামা মুশফিক কিছুক্ষণ সময় নেন। এরপর মাসাকাদজার বল সহজেই ক্যাচ তুলে দিলেন বেনেটের হাতে। ফেরেন ৪ রান করে।
একপ্রান্ত আগলে লড়তে থাকা মমিনুল ১০০ বলে তুলে নেন ফিফটি। এক বল পরে মারেন ছক্কাও। তবে তার রান এই পর্যন্তই। মাসাকাদজার বল মিডউইকেটে ক্যাচ দেন মাধেভেরের হাতে। ফেরেন ১০৫ বলে ৫৬ রান করে। সাতে নামা মিরাজের স্থায়িত্ব হয় স্রেফ ৪ বল। মুজারাবানির বাউন্স করা বল নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। ব্যাটে লেগে তালুবন্দি হয় উইকেটরক্ষকের।
মিরাজের মতো দ্রুত উইকেট হারান তাইজুল ইসলামও। মাসাকাদজার বল উইকেটরক্ষকের হাতে তুলে দিয়ে ৩ রানে ফেরেন সাজঘরে। হাসান মাহমুদ নেমে কিছুক্ষণ থিতু হন। তবে মুজারাবানির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ১৯ রানেই। লড়তে থাকা জাকের আলি অনিককে (২৮) শেষ দিকে তুলে নেন মাধেভেরে। একই ওভারে নাহিদ রানা বোল্ড হলে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন মুজারাবানি ও মাসাকাদজা। দুটি করে উইকেট নেন নিয়াউচি ও মাধেবেরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৫
আরইউ