১৩টি ভিন্ন ব্যাংকে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর) সরানো নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে মুখ খুললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অধিক মুনাফা অর্জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে অর্থ সরাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে বিসিবি।
তিনি জানান, আগের ব্যাংকগুলোতে যেখানে ৭-৮ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যাচ্ছিল, নতুন ব্যাংকগুলোতে সেটা বেড়ে ১১-১২ শতাংশ হয়েছে। তাছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কতা অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে অর্থ সরানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তার ভাষায়, "কেউই চাইবে না নিজের অর্থ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকে রাখতে। " পাশাপাশি ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে বিসিবির অভ্যন্তরীণ নিয়ম মানা হয়েছে কিনা, তা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখবে।
সম্প্রতি বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে একক সিদ্ধান্তে ব্যাংক পরিবর্তন ও অর্থ সরানোর অভিযোগ ওঠে। একটি জাতীয় দৈনিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, প্রায় ২৫০ কোটি টাকা স্থানান্তরের সঙ্গে বিসিবির কয়েকজন শীর্ষ পরিচালকও যুক্ত ছিলেন।
তবে শনিবার বিসিবি এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এসব অভিযোগ 'ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলে অস্বীকার করে।
বিসিবির ভাষ্য, "জাতীয় গণমাধ্যমের একটি অংশে প্রকাশিত প্রতিবেদন সঠিক নয়। বোর্ড এবং সভাপতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এগুলো প্রচার করা হয়েছে। "
বোর্ড জানিয়েছে, সভাপতি এককভাবে কোনো আর্থিক সিদ্ধান্ত নেননি। ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা এবং টেন্ডার ও পারচেজ কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম যৌথভাবে স্বাক্ষর করেই আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে।
বিসিবির বক্তব্য অনুযায়ী, বর্তমানে তাদের স্থায়ী আমানত দেশের ১৩টি নির্ভরযোগ্য ব্যাংকে সংরক্ষিত রয়েছে এবং নতুন ব্যবস্থায় ২-৫ শতাংশ অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি গত ছয় মাসে তিনটি ব্যাংকিং অংশীদার থেকে ১২ কোটি টাকার স্পনসরশিপ এবং অবকাঠামো উন্নয়নে আরও ২০ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি মিলেছে।
বোর্ড সর্বোচ্চ আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং গণমাধ্যমকে তথ্য যাচাই করে প্রতিবেদন প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৫
এমএইচএম