দুবাই: বুধবার পাকিস্তানের কাছে প্রথম ম্যাচটি হেরে শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি শীর্ষস্থান নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার দ্বিতীয় ও শেষটি ২৪ রানে জিতে সিরিজ সমতায় শেষ করে এক নম্বর আসনটি আবারও অটুট করল লঙ্কানরা।
শ্রীলঙ্কা: ২১১/৩ (২০ ওভার)
পাকিস্তান: ১৮৭/১০ (১৯.২ ওভার)
ফল: শ্রীলঙ্কা জয়ী ২৪ রানে
টস জিতে ফিল্ডিং নেয় পাকিস্তান। ব্যাট করতে নেমে কুশল পেরেরা ও তিলকারত্নে দিলশানের উদ্বোধনী জুটিতে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেয় লঙ্কানরা। পাকিস্তানি বোলারদের তুলোধুনো করে ১০০ রান করে তারা। ৩৩ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৪৮ রানে দিলশানকে থামান সাঈদ আজমল। অজন্তা মেন্ডিসের পরিবর্তে দলে আসা সেক্কুজে প্রসন্নও সাজঘরে ফেরেন পাকিস্তানি অফস্পিনারের কাছে।
কুশল ও কুমার সাঙ্গাকারার ব্যাটে তুমুল ঝড় ওঠে শেষ ছয় ওভারে। ৭৮ রান তোলেন তারা।
শেষ বলে সোহেল তানভির ও আজমলের যোগসাজশে রান আউট হন কুশল। এর আগে ৫৯ বলে পাঁচ চার ও চার ছয়ে ৮৪ রান করেন তিনি। ২১ বলে চারটি চার ও দুই ছয়ে ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন সাঙ্গাকারা।
বিশাল রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে শুরু থেকেই টালমাটাল পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার সারজীল খানের ২৫ বলে পাঁচ চার ও তিন ছয়ে ৫০ রান ছাড়া টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডারে আর কোনো উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল না।
লঙ্কান বোলারদের সামনে ৮৫ রান তুলতেই সাত উইকেট হারায় তারা। শেষে শহীদ আফ্রিদি ও সোহেল তানভিরের ৩৬ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে। গত ম্যাচে জয়ের নায়ক আফ্রিদি ২৮ রানে সাজঘরে ফিরলে সিরিজ দখলের আশা ভেস্তে যায়। তবে আজমল ও তানভিরের জুটিতে শেষ অবধি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেয় পাকিস্তান।
৩৩ বলে ৬৩ রান আসে এই নবম উইকেটে। ৪১ রানে তানভির ও ২০ রানে আজমল আউট হলে হার মানে পাকিস্তান।
সেক্কুজে, থিসারা পেরেরা ও নুয়ান কুলাসেকারা দুটি করে উইকেট নেন। সবচেয়ে বেশি তিনটি নেন সচিত্র সেনানায়েক।
ম্যাচসেরা হয়েছেন কুশল। আর ১-১ ব্যবধানে শেষ হওয়া সিরিজের সেরা আফ্রিদি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩
সম্পাদনা: ফাহিম হোসেন মাজনুন, নিউজরুম এডিটর