জহুর আহমেদ স্টেডিয়াম চট্টগ্রাম থেকে: আইসিসির সহযোগী দেশ হিসেবে এই প্রথম নেপাল ছোট পরিসরের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। নিয়ম রক্ষার ম্যাচে চমক দেখালো নেপাল।
প্রথম থেকে আধিপত্য বিস্তার করেছে হিমালয় কন্যা। ব্যাটিংয়ে শুরুতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আফগানরা। নেপালি গুর্খাদের কাছে উইকেট বিলিয়ে দেয় নবী বাহিনী।
নেপাল:১৪১/৫ (২০ ওভার)
আফগানিস্তান: ১৩২/৮ (২০ ওভার)
নেপাল নয় রানে জয়ী
টস জিতে নেপালকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানায় আফগানিস্তান। নেপালের দলীয় ১৯ রানে দৌলত জাদরানে বলে সাগর পুনকে সাজঘরে ফেরান। মিড অফের উপর দিকে বল মারতে চেষ্টা করলে মোহাম্মদ নবী তালুবন্দি করেন।
রান রেটকে দ্রুত উপরে তোলার চেষ্টা করেন গায়েন্দ্র মাল্লা। তিনি ১৩ বল খেলে এক ছয় ও তিন চারে ২২ রান করে মোহাম্মদ নবীর বলে নওরোজ মঙ্গলের কাছে বল তুলে দেন।
স্কোর বোর্ডে দুই যোগ করতেই পরশ খারকার উইকেট হারায় নেপাল। ব্যক্তিগত এক রান করে মিরওয়াইস আশরাফের বলে বোল্ড হন তিনি।
দলীয় ১২৯ রানে শাপুর জাদরানে বলে শুভাষ খাকুরেল ডিপ মিড উইকেটে আজগর স্তানিকজাইয়ের কাছে বল তুলে দেন। এক ছয় ও ছয় চারের বিনিময়ে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক করে ৫৬ রানে ক্রিজ ছাড়েন খাকুরেল।
১৮ ওভার তিন বলে শারদ বেশকর ৩২ বলে ৩৭ রান করেন। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৪১ রানে পুঁজি গড়ে নেপাল। চার রানে বিনোদ ভান্ডারি ও দুই রানে শারদ বেশকর উইকেটে ছিলেন।
আফগানদের পক্ষে বল হাতে দু’টি উইকেট নেন শাপুর জারদান। একটি করে উইকেট দখলে রাখেন দৌলত জার্দান, রিমওয়াইস আশরাফ ও মোহাম্মদ নবী।
১৪২ রানে লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ২০ রানে মাথায় তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে হারায় আফগানিস্তান। বল হাতে নেপালের পক্ষে বড় অবদান রাখেন জিতেন্দ্র মুখিয়া ও শক্তি গৌচান। নেপালের পক্ষে সর্বাধিক ৪৫ করেন আজগর স্তানিকজাই। তিনি ৩৪ বলে এক ছয় ও তিন চারের বিনিময়ে ৪৫ রান করেন। দলকে আরো এগিয়ে নেন শফিকউল্লাহ । তিনি ৩২ বলে ৩৬ রান করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না আফগানদের। আট উইকেটে ১২৮ রানে থাকে আফগানরা।
নেপালের পক্ষে তিনটি উইকেট শিকার করেন জিতেন্দ্র মাখিয়া। দুইটি করে উইকেট নেন শক্তি গৌচান ও সম্পাল কামি। একটি নেন বসন্ত রেগমি। ম্যাচ সেরা হন জিতেন্দ্র মাখিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, ২০ মার্চ ২০১৪