মিরপুর স্টেডিয়াম থেকে: ভারত পাকিস্তান ম্যাচ। তা-ও আবার উপমহাদেশের কোনো দেশের মাটিতে।
পাঁচস্তরের নিরাপত্তা বলয় ভেদে খানিটা বেগ পেতে হয় মাঠে প্রবেশে। কঠোর তল্লাশি শেষে করে মাঠে ভারত- পাকিস্তানের মহরণে নিজেকে শরিক করা। স্টেডিয়ামের চারপাশ ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড়।
ও টিকেটের কথা বলতেই তো ভুলে গেছি। টিকিটের জন্য হাহাকার আগে যেমন ছিল এবারও তেমন। চট্টগ্রাম থেকে চারজন এসে টিকিটের জন্য ছটফট করছে। তাদের একটাই দাবি যে কোনো মূল্যে টিকিট চাই। দেশের মাটিতে পাক-ভারত দ্বৈরথের রাজস্বাক্ষী হয়েই বাড়ি ফিরতে চান তারা। চট্টগ্রামের মাটিতে বাংলাদেশের খেলা দেখেছি কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের খেলা দেখব না তা কেমন করে হয়?
পতাকা বিক্রিতে ক্রেতা-বিক্রেতা সমানে সমান। ভারত বা পাকিস্তানের যে পতাকাই নেন আপনাকে দিতে হবে ছোট সাইজ ১০০ টাকা আর বড় ১৫০ টাকা। তবে ক্রেতা ভেদে বাড়তি দাম লুফে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করছে না।
ভারতের দিল্লি থেকে আগত অজয় এসছেনে ভারতের জয় দেখতে। আজ ভারতের ব্যাটিংই জয়ের মূলমন্ত্র দেখছেন। তার সঙ্গে থাকা স্ত্রী বিনি এতোটা পথ পাড়ি দিয়েছেন শুধুমাত্র মাহেন্দ্র সিং ধোনির খেলো দেখতে। কিন্তু ভারতের সাম্প্রতিক পারফরম্যন্সে কিছুটা সঙ্কিত এই ভারতীয়। তবে বিশ্বকাপের ভারতের ভালো ইতিহাস রয়েছে বলে মনে করেন বিনি।
সকালে ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে পৌছেছেন পাকিস্তানি নাগরিক ইকবাল আছাদ। তিনি সবার আগে বাংলাদেশের ক্রিকেট উন্মাদনার প্রশংসা করলেন। আজ যে কঠিন লড়াই হবে তা আগেই তিনি মানছেন।
খেলা শুরু হওয়ার আগেই যে গ্যালারি ভরে যাচ্ছে তা আগেই ধারনা করা হয়েছিল। মাঠের চারপাশ ঘিরে হাজার হাজার মানুষের পদচারণা সে কথাই বলে। তবে আর যাই হোক খেলা শেষের আগে কিন্তু এক খেলাই জয় নির্ধারণ হয়ে গেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশ ইতিমধ্যে তাদের জানতে বাদ নেই বাংলাদেশের মানুষের ক্রিকেট ভালবাসার গল্প।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ২১ মার্চ ২০১৪