ঢাকা: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে সাত উইকেটে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। পাকিস্তানের বেধে দেওয়া ১৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলি এবং সুরেশ রায়নার ব্যাটে ভর করে ১৮.৩ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ভারত ১৮.৩ ওভারে ১৩১ রান করে ৩ উইকেট হারিয়ে। এই জয়ে ৬ বারের দেখায় ভারত জয় পেল ৫ বার।
পাকিস্তান: ১৩০/৭ (২০ ওভার)
ভারত: ১৩১/৩ (১৮.৩ ওভার)
ফল: ভারত জয়ী ৭ উইকেটে।
ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানি ওপেনার কামরান আকমল ১.৫ ওভারেই আউট হয়ে যায়। ৮ (১০) রান করে রান আউটের শিকার হন তিনি। পরের বলেই আরেকটি রান আউটের সুযোগ আসে ভারতের। কিন্তু সুযোগ মিস করে তারা। শুধু রান আউট নয় ৫.১ ওভারে হাফিজের ক্যাচটি লুফে নিতে পারেনি যুবরাজ সিং।
পাওয়ার প্লে-তে (৬ ওভার) পাকিস্তান এক উইকেট হারিয়ে ৩৪ রান সংগ্রহ করেছিল।
৭.৩ ওভারে রবিন্দ্র জাদেজার লাফিয়ে ওঠা বলে হাফিজের উঠিয়ে মারা বলটি লুফে নেন ভূবেনশ্বর কুমার। পাকিস্তান অধি-নায়ক ২২ বলে এক চারে ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই অমিত মিশ্রর ঘূর্নীতে আহমেদ শেহজাদ স্ট্যাম্পিং হওয়ার আগে ১৭ বলে দুই চারে ২২ রান করে হাফিজের পথ ধরেন। দশম ওভারে পাকিস্তানের দলীয় অর্ধ-শতক পূর্ণ হয়।
এমন বিপর্যয়ে দলের হাল ধরেন সোয়েব মালিক ও উমর আকমল। ৪০ রানের জুটি গড়ে সোয়েব মালিক ২০ বলে এক চার এক ছয়ে ১৮ রান করে অমিত মিশ্রর বলে সুরেশ রায়নার তালুবন্দী হন। কিছুপরেই এই রায়নার হাতেই ধরা দেন উমর আকমল। তার উইকেটি নেন মোহাম্মদ সামি। ৩০ বলে দুই চারে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
ছয় নম্বরে নামা শহীদ আফ্রিদী উঠিয়ে মারতে গিয়ে ভূবেনেশ্বর কুমারের বলে টপএজ হয়ে আবারো রায়নার হাতে ধরা পড়েন। নতুন ব্যাটসম্যান সোয়েব মাকসুদ কিছুটা ঝড় তোলার চেষ্টা করেন। ইনিংসের শেষ বলে দুই রান নিতে গিয়ে ১১ বলে দুই চার আর এক ছয়ে ২১ রান করে রান আউট হয়ে যান মাকসুদ।
ভারতের হয়ে ৪ ওভারে ২২ রানের খরচায় দুটি উইকেট নেন অমিত মিশ্র। একটি করে উইকেট পান ভূবেনশ্বর কুমার, মোহাম্মদ সামি ও রবিন্দ্র জাদেজা।
ব্যাটিংয়ে নেমে শিখর ধাওয়ান এবং রহিত শর্মা দেখেশুনে ধীরগতিতে ব্যাটিং শুরু করেন। প্রথম তিন ওভারে কোন বাউন্ডারি হাকায়নি ভারত। পাওয়ার প্লে-র ছয় ওভারে তাদের সংগ্রহ ছিল কোন উইকেট না হারিয়ে ৩৮ রান।
দলীয় অর্ধ-শতক আসে ৭.৪ ওভারে। এর দুই বল পরেই দলীয় ৫৪ রানের মাথায় উমর গুলকে তুলে মারতে গিয়ে সাঈদ আজমলের তালুবন্দী হন শিখর ধাওয়ান। সাজঘরে যাবার আগে ২৮ বল খেলে পাঁচ চারের সাহায্যে ৩০ রান করেন ধাওয়ান।
৯.৩ ওভারে আরেক ওপেনার রহিত শর্মাও বোল্ড হয়ে যান। সাঈদ আজমলের বলে আউট হবার আগে দুই ছয় আর এক চারে ২১ বলে ২৪ রান করেন তিনি। পরের ওভারের প্রথম বলেই বিলওয়াল ভাট্টি ১ রান করা যুবরাজ সিং-কে বোল্ড করেন। ৫৪ রানে প্রথম উইকেট হারানো ভারত ৬৫ রানের মাথায় তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে।
১২ ওভারের শেষ বলে পাকিস্তানের সুযোগ এসেছিল রায়নাকে আউট করার। হাফিজের বলে সিøপে দাঁড়ানো আফ্রিদী ক্যাচটি নিতে পারেনি।
১৪.২ ওভারে ভারত সুরেশ রায়না ও ভিরাট কোহলীর ব্যাটিং জুটিতে শতক পূর্ণ করে। ৫০ বলে তারা ৬৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জয় এন দেন। অপরাজিত থাকেন তারা দুজনই। রায়না ২৮ বলে চারটি চার আর এক ছয়ে ৩৫* রান এবং কোহলী ৩২ বলে রায়নার সমান চার ও ছয়ে ৩৬* রান করেন।
পাকিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট নেন আজমল, উমর গুল ও বিলওয়াল ভাট্টি।
অমিত মিশ্র ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৪