মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে: একদিন আগেই মিরপুর স্টেডিয়াম দেখেছে ক্রিকেটের বিশ্বযুদ্ধ, পাক-ভারত মহারণ। সেই ম্যাচের উত্তেজনা সারা বিশ্বজুড়ে।
ম্যাচের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া মুশকিল ছিল হাফিজ বাহিনীর। বাংলাদেশে খেলতে এসে পাকিস্তানের বাড়তি সুবিধা হল গ্যালারিতে বিপুল সংখ্যক সমর্থকদের সরব উপস্থিতি। এ দখলদারিত্বের মাঝেও ছন্দপতন দেখেও দর্শক দমেনি একদম। গ্যালারিতে অনেক আসন ফাঁকা থাকলেও ‘জিতেগা ভাই জিতেগা’ স্লোগান কানে লাগার মতো।
অস্ট্রেলিয়ার সমর্থক দর্শকরাও মাঠের গতির সাথে নিজেদের গতির জানান দেওয়ার চেষ্টা করলেও আকমল ব্রাদারদের সামনে রানের উপচেপড়া চাপে গতির ছন্দপতন মাঝে মাঝেই। অস্ট্রেলিয়ার বাজে ফিল্ডিং আর ক্যাচ ফেলার দৃশ্য দেখে ক্রিকেট বিশ্বের মতোই সমর্থকরাও হকচকিয়ে গেছেন।
ক্লাব হাউজ গ্যালারিতে দেখা গেল অস্ট্রেলিয়ার সমর্থক গাই রোজাসর্কে। এইটি-টোয়েন্টিতে এই সিডনিবাসী পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। দেশ-বিদেশ ঘুরে নিজ দেশের খেলা দেখাই তার শখ। শেন ওয়ার্নের খেলা এখনও চোখে লেগে গেছে। রিকি পন্টিং এর নেতৃত্ব এখনও মিস করেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া হয়নি তবে এবারকার দল নিয়ে বেশ আশাবাদীগাই রোজার্স। বাংলাদেশের স্পিন বোলারদের দারুণ প্রশংসা করলেন। চাকরির সূত্রে বাংলাদেশে থাকায় বিপিএলের খেলা দেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিপিএলের মূল্যায়ন আর এ ধরনের প্রতিযোগিতাই বাংলাদেশকে আরো সামনে আনতে পারবে বলে মন্তব্য করলেন।
পাকিস্তানি ভক্ত নাহার বর্ষা বাংলানিউজকে বললেন, গত ম্যাচের হার এখনও ভুলতে পারিনি। তবে আজ আকমলের দারুণ মারমুখি ব্যাটিং সব দেখে মন ভালো হয়েছে। পাকিস্তানের খেলার প্রতি ম্যাচের টিকিট পেলে ভালো হতো। দলকে মাঠে বসে উৎসাহ দেওয়া যেতো। পাকিস্তানের বোলিং এর ভক্ত হয়েও আমি কিন্তু আফ্রিদির ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ হই সব সময়।
অস্ট্রেলিয়ার ক্যাচ মিচের মহড়া আর আর ওমর আকমলের শতক হাকানোর আক্ষেপ গ্যালারিতে কারো কিছু যায় আসে না। বাংলাদেশের দর্শকরা চান, চার-ছক্কা আর রানের বন্যা। আর সেটা করে দেখালো পাকিস্তান। এখন পর্যন্ত এ আসরের সর্বোচ্চ স্কোর করে গ্যালারিতে আনন্দ উৎসবের বিশেষ উপলক্ষই উপহার দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৪