ঢাকা: ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনে বাংলাদেশ দলের প্রথম প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ০৭:৩০ মিনিটে গেইল- নারাইনদের বিপক্ষে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে মাঠে নামবে সাকিব-মাশরাফি-তামিমরা।
তবে একদিক থেকে বলা যায় বিশ্বকাপের আগে মুশফিকরা প্রস্তুতি ম্যাচ দুটিতে জয় এবং বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের আফগানিস্তান এবং নেপালের সাথে বড় জয় ভাল কিছুরই ইঙ্গিত দেয়। এছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে জয়ের স্বাদ এখানেও অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে মনে করেন মুশফিক। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানালেন তিনি।
“হংকংয়ের সাথে হারার পর বেশ সমলোচনা হয়েছে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যন্স নিয়ে। তবে এই তিনদিন বাংলাদেশ দল কঠোর অনুশীলন আর টেকনিক্যালি উন্নতি এবং বাজে শর্ট সিলেকশনের উপর বেশ কাজ করছে। আমরা সুপার টেনে গ্রুপের বড় চার দলের সাথে খেলব। সব দলকেই আমরা হারানোর ক্ষমতা রাখি। ”
বড় দলের কাছে আমাদের হারানোর তেমন কিছু নেই। বরং ঐসব দলই আমাদের নিয়ে বেশী বেশী চিন্তা করবে এবং আমাদের মাঠে তারাই চাপে থাকবে। আমরা ভিন্ন ভিন্ন উইকেটে খেলছি। তবে এখানে ১৬০ রান করতে পারলে আমাদের বোলাররা যে কোন দলকে আটকে রাখতে পারবে। টিমে ম্যাচ উইনার খেলোয়াড় নেই এমনটা একদমই না। তবে আমাদের গেইল বা বিরাট কোহলী নেই তবে সবাই মিলে ম্যাচ বের করে আনতে পারব।
দলে যারা ভাল পারফর্ম করছে না তারা এক দুইটা ম্যাচ ভাল খেলতে পারলেই ফর্মে ফিরতে পারবে বলে মনে করি। মাশরাফি কে ফিট রাখার চেষ্টা করছি। কারণ উনার মত খেলোয়াড় দলের জন্য গুরুত্বপূর্ন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে সোহাগ গাজীর ভাল রেকর্ড রয়েছে। জিয়াউর রহমান ভাল করতে পারে দলে এসে। অলরাউন্ড পারফর্মে জিয়ার ম্যাচ জিতানোর ক্ষমতা রয়েছে।
স্পিনাররা ফর্মে না থাকায় কিছুটা চিন্তিত। তবে প্রতিপক্ষ শারীরিক শক্তিতে এগিয়ে থাকলেও আমরা অবশ্যই ওদের থেকে টেকনিক্যালি বেশ এগিয়ে। সুপার টেনে সবাই ভাল দল। এখানে কোন প্রতিপক্ষকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, ২৪ মার্চ ২০১৪