সিলেট থেকে: বাংলাদেশের বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে একটি ছাড়া কোনো খুঁত ধরার নেই। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে একটিমাত্র ক্যাচ ছেড়েছেন সালমা খাতুন।
প্রথমবারের মতো এত বড় মঞ্চে জায়গা পাওয়া সালমা-রুমানাদের কাছ থেকে বড় কিছু প্রত্যাশা করাটা সাহসিকতারই বটে। তবে দারুণ ফিল্ডিং-বোলিং দিয়ে স্বাধীনতা দিবসে জয়ের আভাস দিয়েছিল বাংলাদেশি ব্যাটাররা। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতা আবারও এল ঘুরেফিরে।
যত সমস্যা ব্যাটিংয়েই। এর রহস্যের জট খোলা আরও বড় সমস্যা। সংবাদ সম্মেলনে এসে সালমা জানালেন,‘আসলে আমাদের বোলিং শক্তিশালী। তার প্রমাণও দেখাই আমরা। কিন্তু এটাও বলি আমাদের ব্যাটাররা ধসের মুখে পড়ে। ব্যাটিংয়ের উপর কাজ হচ্ছে। কেন যে রান হচ্ছে না বুঝতে পারছি না। আমাদের রান পাওয়াটা খুব জরুরী। ’
১১৫ রানের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো বড় দলকে বেধে দেওয়ায় নিজেদের কৃতিত্ব তুলে ধরলেন স্বাগতিক অধিনায়ক,‘তারা খুব বড় দল। তাদের ১১৫ রানের মধ্যে বেধে দেওয়াটা অবশ্যই কৃতিত্বের। ’
আর লক্ষ্য সহজই ছিল। তাই জয়ের আশা করেই ব্যাটিং ক্রিজে নেমেছিল বাংলাদেশ, জানালেন সালমা,‘টার্গেটে পৌঁছানো সহজ ছিল। আগে থেকেই আমরা বলেছিলাম ব্যাটিংয়ে সমস্যা। সেই সমস্যাই আজও হলো। আর পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারিনি। তাড়াতাড়ি উইকেট পড়েছে। এগুলোও ছিল। ’
জয়ের পথে থেকেও ম্যাচ ঘুরে যাওয়ার কারণ হিসেবে দুই উইকেট পাওয়া এই স্পিনার বলেন,‘পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারিনি বলেই সমস্যা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে ৩৫-৪০ করতে পারলে পরের ব্যাটারদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যেত। ’
পরের ম্যাচের জন্য শুধু ব্যাটিং নিয়েই কাজ করবে জানালেন সালমা। শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ। অধিনায়কের প্রত্যাশা প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান রান করতে পারবে। তাহলেই ভালো কিছু সম্ভব।
শেষদিকে একই জায়গায় শট খেলতে গিয়ে ব্যাটাররা সাজঘরে যাওয়া আসা করলেন। এনিয়ে সালমার মন্তব্য,‘এটাকে ব্যাটিং ব্যর্থতা বলব না। ১৮ বলে ৩৬ কি ৪০ দরকার ছিল। এই সময় পিটিয়ে খেলার দরকার ছিল। ওটা করতে গিয়েই ফিল্ডারদের হাতে ধরা দিতে হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, ২৬ মার্চ ২০১৪