ঢাকা: সাকিব আল হাসান বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার। একের পর এক রেকর্ড করে চলেছেন।
এক টেস্টে সেঞ্চুরি এবং দশ উইকেট নিয়ে নাম লিখিয়েছেন ক্রিকেটের অভিজাত অলরাউন্ডারের তালিকায়। তার আগে এই কীর্তি গড়েছেন সর্বকালের দুই সেরা অল রাউন্ডার ইয়ান বোথাম এবং ইমরান খান। সাকিবের এই পারফরমেন্স শুধু বাংলাদেশীদের গর্বিত করেনি।
সাকিবে মুগ্ধ ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কারও। এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে শুধুমাত্র প্রশংসা নয় শ্রদ্ধাও প্রকাশ করেছেন ইতিহাসের এই গ্রেট ক্রিকেটার।
১৮৭৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত ১০০০ টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছে। এরমধ্যে মাত্র তিনজন একই ম্যাচে সেঞ্চুরি এবং দশ উইকেট নিয়েছেন। এই তরুনের প্রতি মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই- সাকিব সম্পর্কে এমন মন্তব্যই করলেন সানি।
সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরেছেন এই অল রাউন্ডার। তার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও সাবেক এই ওপেনার আরেকবার বুঝিয়ে দিয়েছেন সাকিবকে প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ‘আসলে প্রাপ্য কৃতিত্ব থেকে হয়তো কখনো কখনো সে বঞ্চিত হয়, তবে যারা তার বিপক্ষে খেলেন তারা জানেন এক হাতেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে এই অলরাউন্ডারের। ’
১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। তখন থেকেই বাংলাদেশকে নিয়ে নানা সমালোচনা। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলবে এমন তথ্য জানার পর পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান বাসিত আলি মন্তব্য করেছিলেন, বিশ্বকাপের মজাটাই নষ্ট হয়ে যাবে। তার জবাব ৯৯ সালের ৩১ মে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেদিনও খালেদ মাহমুদ সুজন নামের এক অলরাউন্ডার জ্বলে উঠেছিলেন। তখনো টেস্ট মর্যাদা পায়নি বাংলাদেশ। সে জয়ই টেস্ট মর্যাদা এনে দিতে রেখেছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ১৪ বছর পর আবারো যখন বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কটাক্ষ করার চেষ্টায় আছেন অনেক রথী মহারথীরা। তাদের মুখ বন্ধ করে বাংলাদেশের মান বাঁচালেন আরেক অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
বিশ্ব ক্রিকেটকে এক এক্সাইটিং অলরাউন্ড উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ- এই কথা বললে অতুক্তি হবে না।
বাংলদেশ সময় ১৮০০ ঘন্টা, ১৭ নভেম্বর ২০১৪