ঢাকা: পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুই উইকেটে হারিয়ে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সিডনিতে টস জিতে আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা সংগ্রহ করে ছয় উইকেটে ২৮১ রান।
এই ম্যাচ জয়ের ফলে আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান দখল করে নিল অজিরা। আগেই সিরিজ জিতে নেওয়ায় স্বাগতিকরা এই ম্যাচকে পাখির চোখ করেছিল র্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্যে। তবে কাজটা যত সহজ হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল ঠিক ততটাই কঠিন ছিল জর্জ বেইলির দলের জন্যে।
২৮২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে প্রোটিয়া বোলাররা। কিন্তু পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ওয়ার্নার পারনেলের বলে পিটারসনের বলে আউট হলে প্রথম সাফল্য পায় প্রোটিয়ারা।
এরপর ম্যাচের দশম ওভারে বৃষ্টি হানা দিলে প্রায় আধ ঘন্টার মতো খেলা বন্ধ থাকে। তখন স্বাগতিকদের স্কোর ছিল এক উইকেটে ৬৬ রান। এরপর অজিদের টার্গেট পুননির্ধারণ করা হয়। অজিদের জয়ের জন্যে প্রয়োজন পড়ে ৪৮ ওভারে ২৭৫ রান।
এরপরও সাবলীলভাবে ব্যাট করছিল অ্যারন ফিঞ্চ এবং শেন ওয়াটসন। দ্বিতীয় উইকেটে ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়লে মনে হচ্ছিল অজিদের জন্যে অপেক্ষা করছে আরেকটি সহজ জয়। দলীয় ১৩৭ রানের মাথায় পিটারসেন ফিঞ্চের উইকেট তুলে নিলে দ্বিতীয় উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ফিঞ্চ করেন ৭৬ রান।
কিন্তু ফিঞ্চের উইকেট তুলে নিলেও অজিদের রানার চাকা থামাতে পারেনি প্রোটিয়া বোলাররা। শেন ওয়াটসন এবং স্টিভেন স্মিথ তৃতীয় উইকেটে ৮১ রানের পার্টনারশিপ করলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় অজিদের হাতে। দলীয় ২১৮ রানে ওয়াটসন ৮২ রান করে আউট হলে তৃতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
এরপরই জমে উঠে নাটক। অজি মিডল অর্ডার আসা যাওয়ার মিছিলে নাম লেখালে এক পর্যায়ে স্বাগতিকদের স্কোর দাঁড়ায় আট উইকেটে ২৬৭ রান। কিন্তু জেমস ফকনার ঠান্ডা মাথায় জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন অস্ট্রেলিয়াকে।
এর আগে ওপেনার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি ককের সেঞ্চুরির উপর ভর করে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২৮১ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সিডনিতে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়ারা সংগ্রহ করেছে ছয় উইকেটে ২৮০ রান।
প্রোটিয়া দুই ওপেনার হাশিম আমলা এবং কুইন্টন ডি কক শুরুটা ভালোই করেছিলেন। তবে আমলা দলীয় ৫৪ রানের মাথায় ম্যাক্সওয়েলের বলে উইকেট কিপার ম্যাথু ওয়েডের হাতে ধরা পড়লে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারিরা। কিন্তু ডি কক এবং রিলে রোসুউ সচল রাখে রানের চাকা। দ্বিতীয় উইকেটে এই জুটি ১০৬ রানের পার্টনারশিপ গড়লে সুবিধাজনক অবস্থায় চলে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
কিন্তু দলীয় ১৬১ রানে রোসুউ ব্যক্তিগত ৫১ রান করে আউট হয়ে গেলে দ্বিতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। এরপরই খেলায় ফিরে আসে অজিরা। অজি বোলাররা দ্রুত উইকেট তুলে নিতে থাকলে এক পর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়ায় পাঁচ উইকেটে ২০৬ রান। দলীয় ২০৬ রানের মাথায় ডি কক ব্যক্তিগত ১০৭ রান করে কামিন্সের বলে ওয়েডের হাতে ক্যাচ দিলে বিপদে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। এটি ডি ককের ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি
তবে ফারহান বাহারদনের ৪১ বলে ৬৩ রানের ইনিংসের কল্যানে শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা স্কোর বোর্ডে জমা করে ২৮০ রান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘন্টা, ২৩ নভেম্বর ২০১৪