ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

দক্ষিণ আফ্রিকার ‘চোকার’ হওয়ার গল্প...

হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫
দক্ষিণ আফ্রিকার ‘চোকার’ হওয়ার গল্প...

ঢাকা: টেস্ট র‌্যাংকিংয়েও তারা শীর্ষে থাকে, ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়েও থাকে শীর্ষে। দ্বি-জাতি বা ত্রি-জাতি সিরিজে প্রতিপক্ষকে ধুমড়ে-মুচড়ে দেয়।

কিন্তু বিশ্বকাপ কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো আসরেই চেনা যায় না তাদের চেহারা। যেন একেবারে ধুমড়ে-মুচড়ে পড়ে। গল্পটা দক্ষিণ আফ্রিকার।

বর্তমান টেস্ট ৠাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাওয়ার পর থেকে সেমিফাইনাল খেলেছে ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭ বিশ্বকাপে। কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে ১৯৯৬ ও ২০১১ বিশ্বকাপে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ১৯৯৮ সাল ছাড়া ২০০০, ২০০২, ২০০৪, ২০০৬, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে তারা সর্বোচ্চ সেমিফাইনাল খেলেছে। আর ২০০৭, ২০০৯, ২০১০, ২০১২ ও ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে দু’বার তারা ফিরে গেছে সেমিফাইনাল থেকে। বাকি তিনবার বিদায় নিয়েছে সুপার এইট থেকেই।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আর টি-টোয়েন্টির পরিসংখ্যান বাদ দিয়ে কেবল বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান ঘাঁটলেই দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য আফসোস করতে হবে ক্রিকেটপ্রেমীদের।

১৯৯২ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া প্রোটিয়া দলটির ওপর তাদের দুর্দান্ত ফর্মের কারণেই বেশি প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু প্রত্যাশার চাপ এতো বেশি ছিল যে, সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়ে আর সামলাতে না পেরে চাপে ভেঙে পড়ে পুরো দল। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ২৪৯ রানে বেঁধে ফেললেও সেই রান সংগ্রহ করতে নেমেই ভালো শুরু করেও ২২৭ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইনআপ। ওই সময় থেকেই প্রোটিয়াদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় ‘চোকার’ তকমা।

তবে, ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে দুর্ভাগ্যজনক ড্র করার পর থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার আসল ‘চোকার’ হয়ে ওঠার শুরু। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান স্টিভ ওয়াহর ক্যাচ ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে না নিয়েই উদযাপন শুরু করেন হার্শেল গিবস। তার ব্যর্থতায় রক্ষা পেয়ে অসি অধিনায়ক ওয়াহ অপরাজিত ১২০ রানে চমৎকার ইনিংস খেলে দলকে ফাইনালে পৌঁছানোর পথ সুগম করেন। তারপরও ম্যাচে জেতার সুযোগ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। কিন্তু জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ৪ বলে ১ রানও সংগ্রহ করতে সমর্থ হননি প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা। ম্যাচ ড্র হলে সুপার সিক্সে অবস্থান সংহত থাকার হিসাবে ফাইনালে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।

আর ২০০৩ সালে নিজেদের মাঠে আয়োজিত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের বাধাই পেরোতে পারেনি প্রোটিয়ারা।

এবারের বিশ্বকাপে সেই ‘চোকার’ তকমা নিয়েই খেলতে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ‘বি’ গ্রুপে তারা লড়বে ভারত, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে। প্রথম পর্বের এ লড়াইয়ের মাধ্যমে ‘চোকার’ তকমা ঘোচানোর সিঁড়ি প্রোটিয়া বাহিনী কতটুকু অতিক্রম করতে পারে তা-ই এখন দেখার অপেক্ষায়।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।