ঢাকা: দুবাইয়ের একটি কার্গো ইন্ডাস্ট্রির শিপে কাজ করেন তিনি। কাজ শেষে রাতে এবং সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনে গালফ স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ৩৫ বছর বয়সী শাইমান আনোয়ার ৮৩ বলের মধ্যে ৭৯টি বল মোকাবিলা করে একটি ছক্কা এবং ১০টি চারের মাধ্যমে ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান ১০৬ রানের এক ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেন।
অবশ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নেলসন স্টেডিয়ামে ৬৭ রান করে নিজের অস্তিত্বের কথা জানান দিয়েছিলেন শাইমান।
বুধবার ( ২৫ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়া ব্রিসবেনের গ্যাবায় আয়াল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তিনি এ ইতিহাস সৃষ্টি করেন।
তার ব্যাটিং স্টাইল এবং মারমুখী ভঙ্গিমার কারণে উপসাগরী লীগের সংশ্লিষ্টদের কাছে তিনি ‘ছক্কা শাইমান’ হিসেবে পরিচিত।
দেশের হয়ে রেকর্ড গড়া শতরান রান করে শাইমান তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, আয়ারল্যান্ডকে চাপের মধ্যে রাখতে আমি সবার চেয়ে বেশি রান করতে চেয়েছিলাম।
সেই চাওয়াটা পূরণ করতে পেরে তিনি তাই আনন্দিতও বটে। কিন্তু শেষ পযর্ন্ত দুঃখটা হলো দুই উইকেটে দলীয় পরাজয়।
শাইমান ১৯৮৯ পাঞ্জাবের শৈলকতে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথমে স্থানীয় ক্লাবে ক্রিকেট খেলেন। পরে পাকিস্তান ক্রিকেটে চূড়ান্ত ক্যারিয়ার গঠনের স্বপ্ন থাকলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।
২০০৭ সালে তাই তিনি স্বদেশি অন্য বন্ধুদের সঙ্গে দুবাইতে কাজের সন্ধানে যান। সেখানে তিনি কার্গো ইন্ডাস্ট্র্রি কারখানায় কাজ করেন।
অদম্য ইচ্ছা এবং অপরিমেয় পরিশ্রমের মাধ্যমেই তিনি ২০০৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত দলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন।
২০১১-১৩ বিশ্ব ক্রিকেট লীগে একটি টুর্নামেন্টে নন টেস্ট প্লেয়িং নেশনে তিনি ১৪ ম্যাচে ৬২৫ রানও করেন।
২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে।
সেই সুযোগে দেশের হয়ে বিশ্ববাসীকে এবার জানিয়ে দিলেন আমরাও পারি সেঞ্চুরি করতে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫