ঢাকা: বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টি-টোয়েন্টি ম্যাচের টিকিট বেচাকেনা নিয়ে নাটকীয় সব কাণ্ড ঘটছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) টিকিট পার্টনার ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) মিরপুর রোড শাখায়।
দর্শকের চাপে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যাংক কর্মকর্তা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
টিকিট ব্যবস্থাপনার জন্য মিরপুর থানার দুই ইন্সপেক্টরসহ কাজ করেছেন মোট ২৫ জন (মহিলা ও পুরুষ) পুলিশ সদস্য। মিরপুর থানার ইন্সপেক্টর মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘এটা ব্যাংক কর্মকর্তাদের দায়িত্ব, আমাদের না। আপনারা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তারা কোনো ব্যারিকেড দেয়নি। আর বাঁশের ব্যারিকেট না দিলে টিকিটি নিতে আসা জনগনকে নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর। ’
এ সময় মহিলা পুলিশদের সঙ্গে মহিলা টিকিট ক্রেতাদের সংঘর্ষ বাধে। লাইন ভেঙে জোরপূর্বক ব্যাংকে ঢুকে যান তারা। পরে লাঠিচার্জ করে মহিলা লাইন ঠিক করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন পুলিশ সদস্যরা। জানা যায় মহিলা টিকিট ক্রেতাদের বেশিরভাগ টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে যুক্ত।
এ ব্যাপারে ইউসিবি ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার মো: ওয়ালীউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার জানা মতে, বিসিবি ব্যাংককে মাত্র ৪০০০ টিকিট দিয়েছে। তার মধ্যে ইউক্যাশে চলে গেছে ১০ শতাংশ টিকিট। আজ (শনিবার) আমরা ২৫০০ টিকিটি বিক্রি করছি। দর্শকের চাহিদার কাছে এই সংখ্যা কিছু্ই না। ১৫০ টাকার সব টিকিট শেষ। বাকি আছে ২৫০ ও ৫০০ টাকার টিকিট। ’
তিনি আরও যোগ করেন, আমি তিন বছর ধরে টিকিট নিয়ে কাজ করছি। আমার মতে, সব টিকিটই ইউক্যাশে দেওয়া উচিত। তাহলে আমাদের ঝামেলা থাকে না, দর্শকদেরও থাকে না।
টিকিট ইস্যু নিয়ে ইউসিবি ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার (কার্ড ডিভিশন) জহুরুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শনিবার সকাল থেকেই ব্যাংকের দু’পাশে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। এক পাশে মহিলা দর্শকের লাইন, অন্যদিকে পুরুষের। পুরুষ দর্শকের লাইন ছাড়িয়েছে স্থানীয় বায়তুল মোশাররফ সিনিয়র মাদ্রাসার গলি পর্যন্ত। লাইনে থাকা অপেক্ষমান দর্শকের অভিযোগ পুলিশ সদস্যরা অর্থের বিনিময়ে লাইনে দাঁড় করাচ্ছেন বাইরের মানুষকে।
শুক্রবার রাত ৯টা থেকে আজ (শনিবার) দুপুর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা টিকিট প্রত্যাশীদের সংখ্যাই এখানে বেশি। এদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থও হয়ে পড়েন। তারপরও তাদের অনিশ্চিত থেকে যাচ্ছে ‘সোনার হরিন’ টিকিট!
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ০৪ জুলাই ২০১৫
এসকে/এমআর