ঢাকা: ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে খুলনা বিভাগ ও ঢাকা বিভাগের মধ্যকার জাতীয় লিগের ম্যাচটি ড্র হয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনার হয়ে তিন ব্যাটসম্যান শতক হাঁকিয়ে নিজেদের লিড বড় করলেও ঢাকা শেষ দিনে ম্যাচটি ড্রয়ের পথেই টেনে নেয়।
চারদিনের ম্যাচের শেষ দিন ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ৪৩৩ রানে এগিয়ে থাকা আব্দুর রাজ্জাকের খুলনাকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে দেয়নি ঢাকা বিভাগ। আগের দিনই দুই উইকেট হারানো ঢাকা শেষ দিনে ৫ উইকেট হারিয়ে ড্র নিশ্চিত করে।
ঢাকার হয়ে এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে প্রথম শ্রেণির ম্যাচে অভিষেক হয় জয়রাজ শেখ, আলি আহমেদ আর মোহাম্মদ মাসুমের।
খুলনা বিভাগ: ১১৭ এবং ৫০৬/৭ (ডিক্লেয়ার্ড)
ঢাকা বিভাগ: ১৫৪ এবং ২৩৩/৭
ফল: ম্যাচ ড্র
প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করে খুলনা মাত্র ১১৭ রানেই গুটিয়ে যায়। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ঢাকা বিভাগ ১৫৪ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনা ৭ উইকেট হারিয়ে ৫০৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। জয়ের জন্য ৪৭০ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকা ১২৪ ওভার ব্যাট করে ২৩৩ রান তুললে দুই অধিনায়ক ড্র মেনে নেয়।
দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনার বড় সংগ্রহে অবদান রাখেন মেহেদি হাসান, এনামুল হক বিজয়, নুরুল হাসান এবং জিয়াউর রহমান। প্রথম তিনজনই শতক হাঁকান। ওপেনার ইমরুল কায়েস দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত ৪ রান করে আউট হন। আরেক ওপেনার মেহেদি হাসান খেলেন ১০৪ রানের ইনিংস। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে এনামুল হকের ব্যাট থেকে আসে ১০০ রান। সাত নম্বরে নামা জিয়াউর ৮৯ রানে বিদায় নেন।
তবে, দলের বড় সংগ্রহে দারুণ ভূমিকা রাখেন খুলনার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। ২২৩ বল মোকাবেলা করে ১৯টি চার আর একটি ছক্কায় সোহান খেলেন অপরাজিত ১৮২ রানের ইনিংস।
৪৭০ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান করে ঢাকা। ওপেনার আব্দুল মজিদ ৬০, মাইশুকুর রহমান ৭, অভিষিক্ত জয়রাজ শেখ ১৬, রাকিবুল হাসান ৩৪, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন অপরাজিত ৬৪, নাদিফ চৌধুরি ৩০ রান করেন।
প্রথম ইনিংসে ঢাকার হয়ে মাসুম সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন। খুলনার হয়ে মুস্তাফিজুর রহমান ৪টি এবং আব্দুর রাজ্জাক ৩টি উইকেট পান। দ্বিতীয় ইনিংসে ঢাকার অভিষিক্ত মাসুম আরও ৩টি উইকেট তুলে নেন। মেহেদি হাসান মিরাজ খুলনার হয়ে ৩টি উইকেট দখল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ২০ অক্টোবর ২০১৫
এমআর