মিরপুর থেকে: ক্যালেন্ডারে বছর না ফুরালেও ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে ফুরিয়েছে বাংলাদেশ দলের এ বছরটি। চলতি বছরে আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই বাংলাদেশ দলের।
যদিও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রত্যাশিত জয় পায়নি টাইগাররা। তবে ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ (৩-০) করে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখে টাইগাররা।
চলতি বছর ১৯ ওয়ানডের ১৩টিতেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। বছরের শুরুতে (ফেব্রুয়ারি) বিশ্বকাপ মিশনে নামে মাশরাফিবাহিনী। এর আগেও গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে আরও একবার ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ (৫-০) করেছিল বাংলাদেশ। আর তাতে ঘরের মাটিতে টাইগারদের টানা সিরিজ জয় পাঁচটি।
এপ্রিলে ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ (৩-০) করে টাইগাররা। জুনে ভারতকেও সিরিজ হারায় বাংলাদেশ (২-১)। সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও রুখে দেয় ক্রিকেট বিশ্বের নতুন শক্তির দেশটি।
এমন সাফল্যের জন্য দলের সতীর্থ ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘এই বছরের কথা যদি বলি কঠিন পরিশ্রম করেছে ছেলেরা। আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ তাদের প্রতি। সেই সঙ্গে কোচিং স্টাফদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বছরটা অনেক বড় ছিল আমাদের জন্য। চেষ্টা করেছি ভালো ভাবে শেষ করার। দূর্ভাগ্যবশত শেষ ম্যাচটা ভালোভাবে শেষ করতে পারিনি। সব মিলিয়ে আমি গর্ববোধ করি ২০১৫ সালের সাফল্য নিয়ে। আশা করি, ২০১৬ সালে আরও ভালো ক্রিকেট খেলবো। ’
বাংলাদেশ দলের ধারাবাহিক এ সাফল্যে খুশি টাইগার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর এ বছরটিই সবচেয়ে সাফল্যের জানিয়ে তিনি বলেন, ‘টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর এ বছরটিই বাংলাদেশ দলের জন্য সবচেয়ে সফল বছর। আমি ক্রিকেটারদের উন্নতি দেখে খুশি। টানা পাঁচটি সিরিজ জয় সহজ নয়। যে কোনো মুহূর্তে ঘুরে দাঁড়ানোর মানসিক শক্তি এসেছে ক্রিকেটারদের মধ্যে। টি-টোয়েন্টিতেও কিভাবে ভালো করা যায় সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩০ ঘণ্টা, ১৫ নভেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর