ঢাকা: রঙ্গিন পোশাকের ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন যথেষ্ট পরিণত। ২০১৫ সালে টাইগারদের দলীয় পারফরম্যান্সের দিকে তাকালে দেখা যাবে শুধুই অর্জনের গৌরব।
পরিসংখ্যান সাক্ষ্য দিচ্ছে কেন ২০১৫ সাল বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় খোদাই থাকবে সফলতম বছর হিসেবে।
২০১৫ সালে টাইগাররা মোট ওয়ানডে খেলেছে ১৮টি। যেখানে জয় পেয়েছে ১৩টি ম্যাচে। হারিয়েছে পূর্ণশক্তির ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকে। দেশের মাটিতে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ক্রিকেটের পরাশক্তিদের ওয়ানডে সিরিজে হারায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। মাশরাফি বিন মর্তুজার অধিনায়কত্বে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগাররা।
২০১৫ সালের জয়ের হিসেব কষলে (শতকরা) সেখানে প্রথম স্থানটি অজিদের। টেস্ট খেলুড়ে দেশের তালিকায় থাকা অস্ট্রেলিয়া গত বছর ১৯ ওয়ানডে খেলে জয় পেয়েছে ১৫টিতে। তিনটি ম্যাচে হেরেছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা আর একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ৮৩.৩৩ শতাংশ সাফল্য অজিদের। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের সাফল্য ৭২.২২ শতাংশ।
২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডে বিশ্বকাপের বর্তমান রানার্সআপরা ৩২ ম্যাচ খেলে জয় তুলে নেয় ২১ ম্যাচে। ১০টি ম্যাচে পরাজয় মেনে নেওয়া কিউইদের একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। তাদের সাফল্য ৬৭.৭৪ শতাংশ।
সাফল্যের শতকরা হিসেবে নিউজিল্যান্ডের পর রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা (৬২.৫০%)। এরপরের জায়গাটি গেছে টিম ইন্ডিয়ার দখলে (৫০.০০%)। তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ৫০ শতাংশ সাফল্য পাওয়া ২৫ ম্যাচ খেলা শ্রীলঙ্কা। ৪৮ শতাংশ সাফল্য নিয়ে সপ্তম ইংল্যান্ড। ৪৬.১৫ শতাংশ সাফল্য নিয়ে অষ্টম ২৭ ওয়ানডে খেলে ১২টি জয় আর ১৪টি পরাজয় মেনে নেওয়া পাকিস্তান।
১৫ ওয়ানডের মাত্র ৪টিতে জয় পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২৬.৬৬%) রয়েছে নয় নম্বরে। আর দশ নম্বরে রয়েছে ৩১ ম্যাচের ৭টিতে জয় পাওয়া জিম্বাবুয়ে (২৩.৩৩%)।
২০১৫ সালে সর্বোচ্চ জয়ের স্বাদ নেওয়ার তালিকায় বাংলাদেশ চতুর্থ। টাইগারদের উপরে রয়েছে নিউজিল্যান্ড (২১), অস্ট্রেলিয়া (১৫) আর দক্ষিণ আফ্রিকা (১৫)। বাংলাদেশের সমান ১৩টি ম্যাচ জিতেছে ভারত। ১২টি করে ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা আর ইংল্যান্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, ০১ জানুয়ারি ২০১৬
এমআর