ঢাকা: দীপ্ত, মেহেদি, তুর্য, সাপ্তিক- তারা সবাই হতে চান বড় ক্রিকেটার। ক্রিকেটের প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকায় বাবা-মাকে রাজি করিয়ে ভর্তি হয়েছেন শেখ জামাল ক্রিকেট একাডেমিতে।
সাকিব-তামিম-মাশরাফি-মুস্তাফিজ হয়ে বাংলাদেশ দলে খেলার স্বপ্ন নিয়ে খুব ভোরে বাবা-মায়ের হাত ধরে নেমে পড়েন ব্যাট-বলের মন্ত্র শিখতে। তাদের মতো আরও অনেক শিশু-কিশোর রয়েছেন ধানমন্ডিতে অবস্থিত এ ক্রিকেট একাডেমিতে।
মাত্র ২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে গত বছরের জুনে শুরু হয় একাডেমির কার্যক্রম। এখন দুই সেশনে (সকাল ও বিকাল) কোচের দীক্ষা নিতে আসছেন প্রায় দেড়’শ শিক্ষার্থী। ধানমন্ডির এ মাঠটি বেশ বড় ও পরিকল্পিত হওয়ায় বেশ ভালো সুযোগ-সুবিধা পান ক্রিকেটাররা। চারটি নেটে চলে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন। ১০ দিন অন্তর হয় অনুশীলন ম্যাচও।
অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার চেয়ে বড় বিষয়, এখানে রয়েছেন দক্ষ ও পরিশ্রমী কোচ। ক্রিকেটার তৈরিতে কাজ করছেন হেড কোচ মোহাম্মদ সেলিম ও সহকারী কোচ মনিরুল ইসলাম তাজ। মোহাম্মদ সেলিম জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার। বাংলাদেশের হয়ে দুটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে খেলেছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। সহকারী কোচ মনিরুল ইসলামের রয়েছে ৯ বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা। খুলনার এ দুই কোচ মিলে ভবিষ্যতের ক্রিকেটার তৈরিতে অবদান রেখে চলেছেন। এখান থেকে ভবিষ্যতের ক্রিকেটার বের করে আনার ব্যাপারে আশাবাদী মোহাম্মদ সেলিম।
বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় এই কোচ বলেন, এখানে বেশ ভালো কয়েকজন ক্রিকেটার আছে। যাদের ভবিষ্যতে আরও ভালো করার সম্ভাবনা আছে। মাত্র তো ৬ মাস হলো। সাধারণত ব্যাটিংয়ের সকল টেকনিক শিখতেই একটা ছেলের দুই বছর লাগে। মেহেদি, মাহিন, আনাস ওরা পরিশ্রম করলে ভালো জায়গায় খেলতে পারবে।
ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হতে অভিভাবকদের আগ্রহের প্রসঙ্গটি উঠতে সেলিম বলেন, আমাদের সময়ে ক্রিকেট খেলতে অনেক বিড়ম্বনাই সহ্য করতে হয়েছে। ছাত্রদের বাবা-মায়েরা এসে বসে থাকেন। অনুশীলন শেষে বাচ্চাদের বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন। আর আমাদের সময় বাসায় লাঠি প্রস্তুত থাকতো (হাসি..)। অভিভাবকরা বাসায় ঢুকতে দিত না। তারপরও আমরা খেলতে যেতাম। আসলে যাদের ক্রিকেটে আগ্রহ আছে, ভালো করার সম্ভাবনা আছে, তাদের ছোটবেলাতেই ক্রিকেটে আসা উচিত। ক্রিকেটকে এখন পেশা হিসেবে নেয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ০৯ জানুয়ারি ২০১৬
এসকে/এমআর