ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

পাকিস্তানের বড় জয়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৬
পাকিস্তানের বড় জয় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম/ফাইল ফটো

ঢাকা: কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেরে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়া পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল প্লে-অফ সেমিফাইনালে (পঞ্চম স্থানের জন্য) নেপাল যুবাদের বিপক্ষে মাঠে নামে। বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে সেমির আশা উবে যাওয়া নেপালকে ১২২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান যুবারা।



ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের বোলিং তোপে ৪৩.৫ ওভারে ১৩৬ রানেই গুটিয়ে যায় নেপালের ইনিংস।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৩০ রানেই পাকিস্তান যুবারা টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারায়। দুই ওপেনার শূন্য রানেই বিদায় নেন। চার নম্বরে নামা হাসান খান ১৩ রানে ফেরেন।

সেখান থেকে ১৮৯ রানের জুটি গড়েন সাইফ বাদার ও হাসান মোহসিন। সাইফের ব্যাট থেকে আসে ৮৮ রান আর মোহসিন খেলেন সর্বোচ্চ ১১৭ রানের ইনিংস। সাইফের ১১৮ বলে সাজানো ইনিংসে ছিল ৬টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কার মার। আর শতক হাঁকানো মোহসিন ১০৬ বল মোকাবেলা করে ৮টি বাউন্ডারির সঙ্গে তিনটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান।

সালমান ফাইয়াজ ও উমাইর মাসুদ প্রত্যেকে ১৪ রান করেন।

নেপালের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন লামিচান। এছাড়া দুটি করে উইকেট তুলে নেন আরিফ শেখ ও দিপেন্দ্র সিং।

২৫৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নেপাল। দলীয় ৬৭ রানেই আট ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। সেখান থেকে দলকে চরম লজ্জার হাত থেকে বাঁচাতে টেনে নেন প্রেম তামাং ও সুশীল কানদেল। ৪৪ রানের জুটি গড়েন তারা।

দলীয় ১১১ রানের মাথায় নবম ব্যাটসম্যান হয়ে বিদায় নেন কানদেল। তামাংয়ের সঙ্গে ১৮.৪ ওভার জুটি বেধে তিনি ৬২ বলে করেন মাত্র ১০ রান। এর আগে নেপালের দলপতি রাজু রিজাল ১৫ রান করেন।

‍সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিল দেখতে থাকা প্রেম তামাং একাই লড়াই চালিয়ে যান। ৯১ বলে ৬৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ১১টি চার আর একটি ছক্কা।

পাকিস্তানের হয়ে ১০ ওভার বল করে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট তুলে নেন ৪২ রান খরচ করা হাসান মোহসিন। ১০ ওভারে ৩০ রান দিয়ে দুটি উইকেট পান ইরফান লিয়াকত। সাইফ আলিও দুটি উইকেট দখল করেন। সাইফের ৬ ওভারে নেপালের ব্যাটসম্যানরা মাত্র ৯ রান নিতে সক্ষম হয়। তার করা ছয় ওভারের তিনটিই ছিল মেডেন ওভার।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এমআর

** নেপালের বিপক্ষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২৫৮

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।