ঢাকা: প্রায় ছয় বছর পর ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় পাকিস্তান। এর মাঝে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দু’টি সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল।
আগামী ১৪ জুলাই চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ মাঠে গড়াবে। লর্ডসে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হবে। টেস্ট শেষে রয়েছে পাঁচটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তার আগে ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দু’টি ওয়ানডে খেলবে সফরকারীরা।
২০১০ সালে আগস্টে লর্ডস টেস্টেই স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। দীর্ঘ সময় পর ওই ভেন্যুতেই তার টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হতে যাচ্ছে। আমির ছাড়াও পাকিস্তানের টেস্ট স্কোয়াডে ওয়াহাব রিয়াজ, রাহাত আলী, ইমরান খান ও সোহেল খানের মতো প্রতিভাবান পেসার রয়েছেন। স্পিন অ্যাটাকে আছেন ইয়াসির শাহ ও জুলফিকার বাবর।
পাকিস্তানের বোলিং নিয়েই যত ভয় ব্রডের, ‘ইংল্যান্ডের উইকেট বোলিং করার জন্য খুবই ভালো কিন্তু কোনো প্রকার ভুল করলেই এর খেসারত দিতে হবে। সাধারণত প্রকৃত পেস বোলারদের এখানে সংগ্রাম করতে হয়েছে-যেমন ব্রেট লি। তাদের লেন্থ বারবার মিস হতে পারে। কিন্তু আমি মনে করি, পাকিস্তানের বোলাররা প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে, কারণ বল হাতে তারা খুবই দক্ষতাসম্পন্ন। ’
আমিরাতে অনুষ্ঠিত দু’দলের মধ্যকার শেষ দু’টি সিরিজই (২০১২ ও ২০১৫) জিতে নেয় পাকিস্তান। এক ম্যাচেও জয়ের দেখা পায়নি ইংলিশরা। তবে ইংল্যান্ডের মাটিতে বরাবরই ধুঁকতে হয়েছে পাকিস্তানকে। সেখানে তারা টেস্ট জিতেছে ৯ বার। তার মধ্যে ২০০০ সালের পর জয় আসে মাত্র দুই ম্যাচে।
এদিকে, শুধুমাত্র পাকিস্তানের বোলিং-ই যে একমাত্র চ্যালেঞ্জ হবে তার পক্ষপাতী নন ব্রড, ‘তাদের ব্যাটিং লাইনআপ অভিজ্ঞ বিশেষ করে মিডল অর্ডারে। কোচিং প্যানেলও সুগঠিত। এখন মুশতাক আহমেদ যুক্ত হয়েছেন যিনি ইংলিশ ক্রিকেট টিমের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাজ করেছিলেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৬
এমআরএম