ঢাকা: গত শুক্রবার পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) এক বিবৃতিতে জানানো হয়, পাকিস্তান সুপার লিগের দ্বিতীয় আসরের খেলা অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। আসন্ন সেই আসরের ফাইনালটি পাকিস্তানের মাটিতে হবে বলে এক সভায় জানিয়েছেন পাকিস্তান সুপার লিগের চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি।
আর এমনটি হলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে হতে পারে। গত আসরে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে পিএসএলের আসরে খেলেছিলেন টাইগারদের ওপেনার তামিম ইকবাল এবং টেস্ট দলপতি মুশফিকুর রহিম।
তবে, প্রথম আসরে সাকিব-তামিম-মুশফিকরা খেলেছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে।
চলতি বছরের অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলোয়াড়দের ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান শেঠি। লাহোরের এই সভায় জানানো হয়, টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী পাঁচটি ফ্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটারদের বেতন বাবদ সর্বোচ্চ ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে পারবে।
বিদেশি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা ভীতি দূর করতেই এমন পরিকল্পনা করেছেন শেঠি। তিনি জানান, আমরা প্রথম আসরটি আমিরাতে করেছি। ব্যাপক সাড়া পেয়েছি সেই আসরে। দ্বিতীয় আসরটি আরও বড় আয়োজনের মধ্যদিয়ে করার চেষ্টা হবে। ক্রিকেট পাগলদের মাতিয়ে তুলতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আর দ্বিতীয় আসরের ফাইনালটি পাকিস্তানের মাটিতে করার ইচ্ছা রয়েছে।
তিনি যোগ করেন, বিদেশি ক্রিকেটারদের পাকিস্তান ভীতি দূর করতে আমাদের দেশে ক্রিকেট আয়োজন করা জরুরি। ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতে আমরা লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ফাইনালের আয়োজন করতে চাচ্ছি। কেননা দ্বিতীয় আসরে জন্য উত্তেজনার মাত্রা ইতোমধ্যে অনেক গুনে বেড়ে গিয়েছে।
গত বছরের আসরটিতে ১৩৮ জন পাকিস্তানিসহ মোট ৩১০ জন ক্রিকেটারকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে খেলোয়াড়দের ড্রাফটে উঠানো হয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো প্লাটিনাম, ডায়মন্ড, গোল্ড, সিলভার ও ইমারজিং।
যেখানে ক্রিস গেইল, কেভিন পিটারসেন, শেন ওয়াটসন ও ডোয়েন ব্রাভোদের মতো তারকা ছিলেন। এবারে যোগ হচ্ছেন ইংল্যান্ডের ইয়ন মর্গান আর নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মতো তারকারা। এর আগেরবার সাকিব আর মুশফিক খেলেন একই দল করাচি কিংসের হয়ে। অন্যদিকে তামিম ইকবাল খেলেছিলেন পেশোয়ার জালমির হয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, ০৩ জুলাই ২০১৬
এমআরপি