ঢাকা: ছোটবেলা থেকেই দূরন্ত প্রকৃতির মেয়ে সাথিরা জাকির জেসি। বাংলাদেশের এ নারী ক্রিকেটারের ঈদকে ঘিরে রয়েছে মজার মজার স্মৃতি।
বেশি সালামি পাওয়ার লোভে নানা বাড়িতেই ঈদ করতে ছুটে যেতেন জেসি। ঈদের দিন সকালে পাঞ্জাবি, টুপি পড়ে মামাদের সাথে যেতেন ঈদগাহে। ঈদের নামাজ পড়েই ফিরতেন বাসায়, ‘ছোটবেলোয় নানা-মামাদের সাথে ঈদের নামাজ পড়তে যেতাম। টুপি-পাঞ্জাবি পড়ে ঈদগাহে যেতাম ছোটবেলায়। এখন ভাবলে খুব মজা লাগে। ’
বেশি সালামি পাওয়ার লোভে জেসি বাবা-মায়ের সঙ্গে দাদাবাড়ি না গিয়ে চলে যেতেন নানাবাড়িতে, ‘আমি সবসময় নানা বাড়িতে ঈদ করতে চাইতাম। বাবা-মা চাইতো দাদাবাড়িতে ঈদ করতে, আমি চাইতাম না। কারণ দাদাবাড়িতে সালামি কম পেতাম। নানাবাড়ীতে নানা-নানু, মামারা অনেক বেশি সালামি দিত। এবারও নানাবাড়ীতে ঈদ করার ইচ্ছা ছিল। আল্লাহর রহমতে আমার নানা-নানি বেঁচে আছেন। ওনাদের সাথে ঈদ করার মজাই আলাদা। ’
জেসি এবারের ঈদ করবেন গাজীপুরের ভিন্ন এক পরিবেশে। শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের শিশুসেবী সংস্থার ‘শিশুপল্লী প্লাস’ মেয়েদের সঙ্গে। সুবিধাবঞ্চিত মেয়ে শিশুদের নিয়ে সংগঠনটির আছে ক্রিকেট টিম। সেই টিমেরই কোচ জেসি। শিষ্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তিনি, ‘গাজীপুরে একটা একাডেমি আছে। ওখানে এতিম বাচ্চা আছে, গরিব বাচ্চা আছে। ওখানে বাচ্চাদের সাথে ঈদ করবো। বাচ্চারা লাইন ধরে দাঁড়াবে, ওদের নতুন টাকা দিব। আলাদা একটা মজা। ’
‘ঈদের আগের দিন রাতে ওখানে মেহেদি উৎসব হয়। অনেক অনুষ্ঠান হয়। বাসায় একরকম আর ওখানকার আনন্দ ছোটবেলার মতো। ১০০টা মেয়ে ক্রিকেট প্র্যাকটিস করে। প্রথম বিভাগেও কয়েকজন খেলেছে। বড় মেয়েরাও আছে, ছোট ছোট বাচ্চারাও আছে। এবার পরিকল্পনা ওখানে ঈদ করার। বাসায় সবাইকে বলেছি। আমার ফ্যামিলিও যাবে। ’-যোগ করেন জেসি।
শিশুপল্লীর গাছপালা ঘেরা শান্ত পরিবেশ কেন টানে তার আরও কিছু কারণ জানালেন জেসি, ‘জায়গাটা কেন জানি খুব আপন মনে হয়। মজার ব্যাপার হলো, গাছ থেকে পেরে খাই। ওখানে সবজি বাগানও আছে। তাজা সবকিছু খাচ্ছি। ওখানে গেলে খুব শান্তি পাই। ’
ঈদের কেনাকাটা নিয়ে জেসি বলেন, ‘রোজার প্রথম দিকেই শপিং শেষ করে ফেলেছি। শেষের দিকে ভিড় বেশি হয়। বাবা-মা, ভাই-বোনসহ সবার জন্য কেনাকাটা করে নিজের জন্য করি। ’
বিশেষ কোনো কিছুর উপর দূর্বলতা আছে কিনা জানতে চাইলে জেসি বলেন, ‘আমার দূর্বলতা ঘড়ি, ব্যাগ আর স্যান্ডেলের। এ তিনটা জিনিশের উপর বেশি ঝোঁক। ’
ছোটবেলার ঈদের কেনাকাটা প্রসঙ্গে জেসি বলেন, ‘তখন ড্রেস নিয়ে এক্সসাইটেড থাকতাম। কে কয়টা ড্রেস নিল একটা হিসাব থাকতো। কেনাকাটার ব্যাপারগুলো গোপন রাখতে চাইতাম যেন অন্যরা না জানতে পারে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৬
এসকে/এমআরএম