ঢাকা: লর্ডস টেস্টে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন। এবার ক্যারিয়ারের অনন্য চূড়ায় বসলেন।
মুশতাক আহমেদের (১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে) পর দ্বিতীয় পাকিস্তানি বোলার হিসেবে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ওঠার গৌরব অর্জন করলেন ইয়াসির। সবশেষ (২০০৫ সালের ডিসেম্বরে) লেগ স্পিনারদের মধ্যে শেন ওয়ার্নই নাম্বার ওয়ান পজিশনে ছিলেন।
প্রথম ইনিংসে ৭২ রানে ছয় ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৯ রানের বিনিময়ে চার উইকেট দখল করে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং উপহার দেন ইয়াসির। ২৮৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে একদিন বাকি থাকতেই ২০৭ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। চার ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল সফরকারীরা। র্যাংকিংয়ে তারই পুরস্কার পেলেন ১৩ টেস্টে ৮৬ উইকেটের মালিক। এক লাফে তিন ধাপ টপকে সবার উপরে উঠে এসেছেন ইয়াসির।
ইয়াসিরের কীর্তিতে অাপসোস করতেই পারেন জেমস অ্যান্ডারসন। ইনজুরির কারণে দলে ছিলেন না টেস্ট ও ওয়ানডেতে ইংলিশদের সর্বকালের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। র্যাংকিংয়েও এর প্রভাব পড়ে। ইয়াসিরকে নিজের ‘চেয়ার’ ছেড়ে দিয়ে তিনে নেমে গেছেন অ্যান্ডারসন।
দ্বিতীয় অবস্থানটা ধরে রেখেছেন ভারতীয় অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তবে শীর্ষ তিনজনের মধ্যে রেটিং পয়েন্টের পার্থক্যটা কিন্তু খুব বেশি নয়। ৮৭৮, ৮৭১, ৮৬৮।
দুই ইনিংসে ছয় উইকেট পেলেও এক ধাপ অবনমনে চারে স্টুয়ার্ট ব্রড। এছাড়া শীর্ষ দশ অপরিবর্তিত। যথাক্রমে ডেল স্টেইন, রবিন্দ্র জাদেজা, ট্রেন্ট বোল্ট, জস হ্যাজেলউড, মরনে মরকেল ও দশ নম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকান ভারনন ফিল্যান্ডার।
ব্যাটসম্যানদের শীর্ষ চারে কোনো পরিবর্তন নেই। যথারীতি শীর্ষেই অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। এর পরেই আছেন কেন উইলিয়ামসন, হাশিম আমলা ও জো রুট। এবি ডি ভিলিয়াসের সঙ্গে ইউনিস খান ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সঙ্গে মিসবাহ উল হকের অবস্থানে রদবদল হয়েছে।
ইংল্যান্ডের মাটিতে নিজের প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি উপহার দেওয়া মিসবাহ (১১৪) ৯-এ উঠে এসেছেন। এক ধাপ পিছিয়ে ছয়ে ইউনিস। আট নম্বরে ডেভিড ওয়ার্নার। তার উপরে স্বদেশী অ্যাডাম ভোজেস।
অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে যথারীতি শীর্ষস্থানে অশ্বিন। দুইয়ে থাকা সাকিব আল হাসানের পরেই স্টুয়ার্ট ব্রড।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৬
এমআরএম