ঢাকা: বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা চমক যে মোস্তাফিজুর রহমান, তা নতুন করে প্রমাণ করার কিছুই নেই। ইংলিশ কাউন্টিতে সাসেক্সের হয়ে স্বপ্নের অভিষেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন টাইগার এই পেসার।
আগে ব্যাট করে সাসেক্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান সংগ্রহ করে। জবাবে, মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে এসেক্স ১৭৬ রানেই থেমে যায়। দলকে জেতাতে ম্যাচ সেরা পুরস্কারের সঙ্গে মোস্তাফিজ নিজের পকেটে জমান সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট।
সাসেক্স এর হয়ে ওপেনার ক্রিস ন্যাশ ২৫, দলপতি লুক রাইট ৩২, তিন নম্বরে নামা ফিলিপ সল্ট ৩৩, চার নম্বরে নামা রস টেইলর ২৪ রান করেন। ম্যাট মাচানের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। তবে, ক্রিস জর্ডান ২১ বলে একটি চার আর ৫টি ছক্কায় অপরাজিত ৪৫ রান করেন। শেষ দিকে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ক্রেইগ ১৮ ও জোফরা আর্চার ১২ রান করেন।
২০১ রানের টার্গেটে নেমে এসেক্স ব্যাটসম্যানরা কোনো কূল খুঁজে পাননি মোস্তাফিজের দুর্দান্ত সব ডেলিভারির। ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচায় এই পেসার তুলে নিয়েছেন চার ব্যাটসম্যানকে। তার স্লোয়ার, কাটার আর ইয়র্কারে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা ১৫টি বল থেকে কোনো রানই নিতে পারেননি। ৫.৭৫ ইকোনমি রেটে বল করে বাংলাদেশি এই পেসার ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন।
এসেক্সের হয়ে ওপেনার লরেন্স সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন। এছাড়া, ওয়েসলি ২৩, দলপতি রবি বোপারা ৩২, আসার জাইদি ১৮, রায়ান টেন ডয়েসকাট ২৬ রান করেন।
মোস্তাফিজের শিকারে সাজঘরে ফেরেন বোপারা, ডয়েসকাট, জেমস ফস্টার আর কালাম টেইলর। এছাড়া, ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মোস্তাফিজের হাতে ধরা পড়েন ওপেনার নিক ব্রাউন।
সাসেক্স দলপতি লুক রাইট মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে। নিজের প্রথম ওভারে কোনো উইকেট নিতে না পারলেও টাইগার পেসার মাত্র ৪ রান খরচ করেন। এরপর লম্বা বিরতী দিয়ে ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা মোস্তাফিজের হাতে লুক রাইট ইনিংসের ষোলোতম ওভারে বল তুলে দেন। মাত্র ২ রান খরচ করে টাইগার পেসার তুলে নেন রবি বোপারাকে। ১৮তম ওভারে ১১ রান দিলেও (৪ রান অতিরিক্ত খাত থেকে সাজঘরে পাঠান টেইলর আর ফস্টারকে। ফলে, তার প্রথম তিন ওভারে ১৩ রান নিতে পারে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা। আর নিজের ও দলের শেষ ওভারে ১০ রান খরচ করে মোস্তাফিজ তুলে নেন ডয়েসকাটের উইকেট।
মোস্তাফিজের দুর্দান্ত পারফর্মে জয় পাওয়ায় সাসেক্স নকআউট পর্বে উঠার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের সাউথ গ্রুপে থাকা দলটি মোট ১২ ম্যাচের ৫টিতে জয় তুলে নিল। পাঁচটি ম্যাচ হারায় আর দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় মোস্তাফিজের দলটির সংগ্রহ বেড়ে দাঁড়ালো ১২ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৪ ঘণ্টা,জুলাই ২২, ২০১৬
এমআরপি