ঢাকা: মোহাম্মদ রফিক মাঠে বল-ব্যাট হাতে নিজে যখন প্রতিপক্ষকে বধ করার চ্যালেঞ্জে নামতেন, বাংলাদেশ তখন ছোট দল হিসেবেই ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিত। ২০১৫ সাল থেকে বড় দল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট এবং ওয়ানডেতে ১০০টি উইকেট পাওয়া সাবেক এ বাঁহাতি স্পিনারের ব্যক্তিগত কীর্তির গৌরব থাকলেও সে সময় বাংলাদেশের দলীয় সাফল্য হাতে গোনা। খেলা ছাড়ার পর ইচ্ছা ছিল ক্রিকেট নিয়েই থাকার। বিপিএলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বোলিং পরামর্শক হয়েছিলেন। বিসিএলেও কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। তবে ইচ্ছা থাকার পরও বিসিবির অধীনে কোনো কোচিং কার্যক্রমে অংশ নেয়ার সুযোগ হচ্ছিলো না রফিকের।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর সেই ইচ্ছাটি বাস্তব রূপ পেয়েছে। বিসিবির হাই পারফরম্যান্স (এইপি) ইউনিটের স্পিন পরামর্শকের (কনসালটেন্ট) দায়িত্ব পেয়েছেন রফিক। গত ১৭ জুলাই তরুণ ও উদীয়মান ক্রিকেটারদের উন্নত প্রশিক্ষাণার্থে মিরপুরে শুরু হয়েছে এইচপি ক্যাম্প। তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন রফিক।
শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে মিরপুরে এসেছিলেন মোহাম্মদ রফিক। তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করতে পারায় খুশি সাবেক এ ক্রিকেটার। খেলোয়াড়ী জীবনের চ্যালেঞ্জের সঙ্গে তরুণদের শেখানোর ব্যাপারটিকেও সমান চ্যালেঞ্জের মনে করছেন তিনি, ‘যে কোনো পর্যায়ে কাজ করাই আমার জন্য চ্যালেঞ্জের। আগে যখন বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলেছি তখনো আমার কাজটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। এখনো তেমনটাই থাকবে বলে আশা করছি। তবে সম্ভাবনাময় ছেলেদের নিয়ে কাজ করতে পেরে আমি খুব খুশি। আগে আমি দেশের জন্য খেলেছি। এখনো দেশের জন্য এবং তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য কাজ করবো। এটাই তো আমার কাছে বড় পাওয়া। ’
আরও আগেই এই অভিজ্ঞ স্পিনারকে কাজে লাগাতে পারতো বিসিবি। তবে, এটি নিয়ে রফিকের মাঝে খুব বেশি আক্ষেপও নেই। তিনি জানান, ‘বিসিবি কখন আমাকে ডাকবে এটা তো আসলে তাদের ব্যাপার। হয়তো তারা তখন আমাকে প্রয়োজন মনে করেনি। এখন মনে করেছে, তাই সুযোগ দিয়েছে। আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে বর্তমান ক্রিকেটারদের উন্নতি করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবো দেশের জন্য কিছু করার। সত্যি কথা বলতে আমার তেমন কোনো আক্ষেপ নেই। আমি এখন তরুণদের নিয়ে কাজ করতে মুখিয়ে আছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, ২২ জুলাই ২০১৬
এসকে/এমআরপি