ঢাকা: আগামী অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ বাংলাদেশের। ইংলিশদের সঙ্গে তিনটি ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে টাইগাররা।
প্রতিদিনই অনুশীলনে সময় দিচ্ছেন ক্রিকেটাররা। প্রথম দুই সপ্তাহ কেবল ফিটনেস ট্রেনিং। বিদেশি কোচিং স্টাফরা চলে এলে শুরু হয়ে যাবে ব্যাট-বলের স্কিল অনুশীলন। প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকা ৩০ ক্রিকেটার (বর্তমানে রয়েছেন ২৮ জন) নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে পাঁচ-সাতটা। ফিটনেস, স্কিল ট্রেনিংয়ে কতটা উন্নতি হলো সেটি বোঝা যাবে ম্যাচের পারফরম্যান্সে। আর তা দেখেই নির্বাচকরা ঘোষণা করবেন মূল স্কোয়াড।
বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফরম্যান্স দেখিয়ে জাতীয় দলে অবস্থান পাঁকা করে ফেলায় লড়াইটা হবে মূলত কয়েকটা জায়গায়। এর মধ্যে অন্যতম একটি জায়গা অফস্পিন অলরাউন্ডার। প্রাথমিক স্কোয়াডের ৩০ সদস্যের মধ্যে অফস্পিন অলরাউন্ডার চার জন। এরা হলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাসির হোসেন, শুভাগত হোম ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
এই চারজনের মধ্যে টপঅর্ডারে ব্যাট করা মাহমুদউল্লাহ নিঃসন্দেহে নির্বাচকদের অটোমেটিক চয়েজ। বাকি তিনজনের মধ্যে কে থাকবেন মূল স্কোয়াডে সেটি হিসেব করার ব্যাপার থাকছে। তবে এ তিনজনের মধ্যে সবশেষ সিরিজগুলোতে সব ফরম্যাটেই ছিলেন ‘মি: ফিনিশার’ খ্যাত নাসির হোসেন। তবে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে আবার ফেরার পর একাদশে তাকে কমই দেখা গেছে।
প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীর হয়ে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার দাবিদার হয়ে উঠেছেন তরুণ প্রতিভা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শুভাগত হোমকে সম্প্রতি বিবেচনা করা হয়েছে কেবল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। তাইতো নাসিরের লড়াইটা হতে পারে মোসাদ্দেকের সঙ্গেই। নাসির অবশ্য মনে করেন শুধু নিজেরটা না, যে কোনো জায়গা ধরে রাখাই এখন কঠিন, ‘শুধু আমার জায়গা না। সবার জায়গাই অনেক কঠিন হয়ে গেছে। দেখবেন এমন ক্রিকেটাররা আছে যারা একাই ম্যাচ জিতিয়ে দিচ্ছে। এখন অনেক পারফরমার আছে। জাতীয় দলে এখন কেউ বলতে পারবে না, এই জায়গাটা আমার। সবার জন্যই উন্মুক্ত আছে। কে, কখন জাতীয় দলে ঢুকবে এটা বলা কঠিন। সবখানেই প্রতিযোগিতা অনেক বেড়েছে। ’
স্পিন বোলিং অলরাউন্ডারের জায়গায় প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে নাসির হোসেন জানান, ‘আগের চেয়ে এই জায়গায় খেলোয়াড় এখন অনেক বেশি। তাই আমাদের প্রতিযোগিতা অনেক বেড়েছে। ’
নাসির অবশ্য এসব প্রতিযোগিতার কথা না ভেবে আপাতত ফিটনেস অনুশীলন নিয়েই ভাবতে চান, ‘আমাদের সবার ফোকাস এখন ১৪-১৫ দিনের ফিটনেস অনুশীলনের দিকে। আমি কখনো চাইনি যে আমিও প্রতিযোগিতায় যাই। দল আসলে চায় কখন, কাকে খেলাবে। চেষ্টা থাকবে যেন আর প্রতিযোগিতায় না যেতে হয়। ’
২০১৩-১৪ মৌসুমে নাসির হোসেনের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখে কেউই ভাবেনি তাকে দলের বাইরে চলে যেতে হবে। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে নাসির জানান, ‘ক্রিকেটারদের সব মৌসুম এক রকম যায় না। হয়তো আমি সেভাবে সবার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। ’
এখনও জাতীয় দলের নিজের অবস্থান শতভাগ পাকা করতে না পারলেও নাসির চান সব ফরম্যাটে খেলতে। এ জন্য সাধ্যমতো চেষ্টার কথা বললেন এ অলরাউন্ডার, ‘এটা (একাদশে থাকা) আসলে আমার হাতে নেই। এটা টিম ম্যানেজম্যান্টের হাতে। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। অবশ্যই আমার ইচ্ছা থাকবে টি-টোয়েন্টি, টেস্ট বা ওয়ানডে, সবখানে ভালো কিছু করে যেন আমি তিনটা ফরম্যাটেই খেলতে পারি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ২৫ জুলাই ২০১৬
এসকে/এমআরপি