ঢাকা: সতীর্থ হিসেবে মশরাফি’র জুড়ি নেই। সতীর্থরা কেউ মাঠে কোন ভুল করলেও গণমাধ্যমের সামনে বরাবারই তাদের ঢাল হয়ে রক্ষা করেন।
আফগানদের বিপক্ষে হারের কারণ হিসেবে মুশফিককে একেবারেই দায়ী না করে দায়ী করলেন ব্যাটসম্যানদের, ‘একটা ম্যাচ কখনও এক জনের জন্য হারা সম্ভব না। আমরা যদি আর ২০ রান করতাম তাহলে হয়তো এসব কথা আসতোই না। আমরা ওর উপর একেবারেই বিরক্ত না বরং ওকে নিয়ে যথেষ্টই খুশি। ’
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডে’র ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাজে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি উঠে এল মুশফিকের ব্যক্তিগত আচরণের দিকটিও।
ঘটনার সুত্রপাত, আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের পর থেকে। গেল ২৩ মার্চ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে দলকে জয়সূচক ১ রান এনে না দেয়ার লজ্জায়ই হয়তো দেশে ফেরার পর একবারেই গণমাধ্যম বিমুখ ছিলেন এই টাইগার টেস্ট দলপতি। সেই যে শুরু এরপর বারবার তার অন্তর্মুখী চেহারা ফুটে উঠেছে। নিজেকে কেমন ঢেকে রাখার একটি প্রবণতা বারবারই তার মধ্যে দেখা যাচ্ছে।
এমনকি সদ্য শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের পুরো মৌসুমেও গণমাধ্যমের ধারের কাছেও আসেননি মুশফিক। সঙ্গত কারণেই অধিনায়ক মাশরাফির কাছে কারণ জানতে চাওয়া হলো। আর মাশরাফি মুশফিকের এমন আচরণকে তার ব্যক্তিত্বের অংশ বলেই জানালেন, ‘এক এক মানুষর চিন্তা ভাবনা এক এক রকম। তবে মুশফিকের পেশাদারিত্বের দিকে তাকালে দেখবেন সে আমাদের চেয়ে সব সময় এক ধাপ এগিয়ে। এখানে আমরা যারা ক্রিকেট খেলতে এসেছি তারা সবাই পেশাদার আচরণ করবো এটাই স্বাভাবিক। এ জায়গায় থেকে তাকে ১০০ তে ১০০ দিতে হবে। ’
পেশাদারিত্বের কারণে মাশরাফি মুশফিককে ১০০ তে ১০০ দিলেও গণমাধ্যমের সামনে মুশফিকের মত ব্যক্তিত্বের অন্তর্মুখিতা কতটুকু যুক্তিযুক্ত সে প্রশ্নটি কিন্তু দিন শেষে থেকেই যাচ্ছে!
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, ৩০ সেপ্টম্বর ২০১৬
এইচএল/এমআরএম