ঢাকা: ২০০৩ থেকে ২০১৬ এই ১৩ বছরে দেশ ও দেশের বাইরে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড খেলেছে মোট আটটি টেস্ট। যার সবগুলোতেই বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ দল।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে তামিম আবারও প্রমাণ করলেন ইংলিশদের বিপক্ষে কতটা ভয়ঙ্কর এ বাঁহাতি।
‘প্রিয়’ এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচে নয় ইনিংসে তামিমের রান ৫৮৩। আর ৫১ রান করতে পারলেই দু’দলের লড়াইয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের মালিক হবেন তিনি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ছয় ম্যাচে সাত ইনিংস ব্যাট করে সর্বোচ্চ ৬৩৩ রান করেছেন ইয়ান বেল।
অবসরে যাওয়া মার্কাস ট্রেসকোথিক তৃতীয় অবস্থানে। চার ম্যাচে এ বাঁহাতির রান ৫৫১। এর পরই আছেন ইংল্যান্ডের বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক। পাঁচ ম্যাচের আট ইনিংসে তার রান ৪০৫।
বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড টেস্ট দ্বৈরথে সর্বোচ্চ পাঁচটি অর্ধশতক তামিমের। তিনটি করে অর্ধশতক রয়েছে তিন ব্যাটসম্যানের। তিনজনই ইংলিশ কেভিন পিটারসেন, অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস ও গ্রাহাম থর্প।
সেঞ্চুরির দিক থেকে এগিয়ে বেল ও ট্রেসকোথিক। দু’জনেরই ৩টি করে সেঞ্চুরি। তামিমের দুটি। একটি লর্ডসে অপরটি ওল্ড ট্রাফোর্ডে।
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ব্যক্তিগত ৭৮ রান করে গ্যারেথ ব্যাটির বলে বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তামিম।
আজকের ইনিংসটি শেষে ইংলিশদের বিপক্ষে তামিমের গড় ৬৪.৭৭। প্রথম ইনিংসেই উইকেটে বেশি সহজাত থাকেন তামিম। প্রথম ইনিংসে তার গড় ৮২.৪০। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় অর্ধেক ৪২.৭৫। তারপরও চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নিশ্চয়ই তামিমের ব্যাট থেকে বড় স্কোরই দেখতে চাইবেন ভক্তরা।
২০১০ সালের মার্চে এ মাঠেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দেখায় ৮৬ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। সেই থেকে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড মানেই তামিমের ব্যাটে রানের ফোঁয়ারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ২১ অক্টোবর ২০১৬
এসকে/এমআরপি