ঢাকা: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে নেই এই তিন পেসার। চট্টগ্রামে স্পিন সহায়ক উইকেট হওয়ায় রাখা হয়েছে মাত্র দুই পেসারকে।
২৮ অক্টোবর মিরপুরে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এ ম্যাচে দলে ফিরতে পারেন আল আমিন হোসেন, মোহাম্মদ শহীদ ও রুবেল হোসেনের মধ্যে যে কেউ। এ তিনজনকেই পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
এ জন্য শনিবার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ দলের অনুশীলন জার্সি পড়ে একাডেমি মাঠের নেটে দীর্ঘক্ষণ বল হাতে ঘাম ঝরালেন এ তিন পেসার। অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আল আমিন জানান, ‘নতুন বলে বোলিং করতে বলা হয়েছে আমাকে। কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী অনুশীলন করে যাচ্ছি। সুযোগ আসলে ভালো করার চেষ্টা থাকবে। টেস্ট খেললে আমার লক্ষ্য থাকবে ব্যাটসম্যানকে ড্রাইভ খেলানো। নতুন বলে দু’দিকেই সুইং পাওয়া যায় সিম পড়লে। সেক্ষেত্রে সামনের দিকে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে ব্যাটসম্যানের আউট হওয়ার সুযোগ থাকে। স্লোয়ার, ইয়র্কারের মতো বৈচিত্র্য নয়; আমার লক্ষ্য ব্যাটসম্যানকে খেলানো। ’
তিন বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের হয়ে আল আমিন খেলেছেন মাত্র ৬টি ম্যাচ। সবশেষ টেস্ট ২০১৪ সালের অক্টোবরে মিরপুরে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। অপরদিকে গত বছরটিতে ধারাবাহিকভাবে দলে থেকে ৫টি টেস্ট খেলেছেন মোহাম্মদ শহীদ।
এ দুই পেসারের সঙ্গে তুলনা করলে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রুবেলের। খেলেছেন ২৩টি টেস্ট। ২০১৫ সালের এপ্রিলে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন শেষবার। ইনজুরির কারণে মাঝের সময়টা ভালো যায়নি এ পেসারের। তবে টেস্টে আবার সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরতে চান রুবেল, ‘লাইন-লেন্থে আমি জোর দিচ্ছি। আশা তো আছে দ্বিতীয় টেস্টে খেলার। সুযোগ পেলে ভালো করার চেষ্টা থাকবে। দলে অনেক প্রতিযোগিতা। সেরাটা খেলতে না পারলে এখানে টিকে থাকা কঠিন। সুযোগ পেলে সেরা বোলিংই করতে চাই। ’
আল আমিন, শহীদ, রুবেলদের বল নেটে খেলেছেন দলে ফেরার অপেক্ষায় থাকা শাহরিয়ার নাফীস, লিটন দাস। ওয়ানডের পর টেস্ট দলে ঢোকার অপেক্ষায় থাকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও নেটে ব্যাট করেছেন। কোচের নির্দেশে তিন পেসারের সঙ্গে এ তিন ব্যাটসম্যানের অনুশীলনই বলে দিচ্ছে দ্বিতীয় টেস্টে আসতে পারে একাধিক পরিবর্তন!
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ২২ অক্টোবর ২০১৬
এসকে/এমআরপি