ঢাকা: ‘টেস্ট জিততে হলে বছরে ১০-১২টা ম্যাচ খেলতে হবে। ১৪ মাস পরে খেলতে নেমে আপনারা যদি বলেন জয় পেতে হবে তাহলে হবে না।
সঙ্গতই বলেছেন শহীদ। কেননা বাংলাদেশ সবশেষ টেস্ট খেলেছে গেল বছরের জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পক্ষান্তরে, ইংল্যান্ড গেল বছরের জুলাই থেকে বাংলাদেশ সফরে আসার আগ পর্যন্ত খেলেছে ১৬টি।
দীর্ঘ সময়টিতে কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলেনি এটা যেমন দলের পিছিয়ে থাকার কারণ। তেমিন লংগার ভার্সনের কোনো ম্যাচ না খেলেই সোজা পাঁচদিনের ম্যাচে নামাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। ফলে ১৪ মাসের লম্বা বিরতিতে টেস্ট ক্রিকেটের কোনো মেজাজই ছিল না, এটিও আরেক বাস্তবতা।
তারপরেও সফরকারী ইংল্যান্ডকে বাংলাদেশ যে কঠিন সময়গুলোর সম্মুখীন করিয়েছে সেটা অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। চতুর্থ দিন শেষে ইংলিশ শিবির যখন মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলো তখন ধারাভাষ্যকার বারবারই বলছিলেন, ‘এ নার্ভাস নাইট ফর ইংল্যান্ড। ’
আসলেই তো তাই! ইংল্যান্ড সবশেষ কবে এমন স্নায়ুচাপ নিয়ে রাত কাটিয়েছে সেটা হয়তো মনে করতে ওদের কষ্টই হয়ে যাবে। কেননা পঞ্চম দিনে স্বাগতিকদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৩ রান আর হাতে ছিল ২টি উইকেট। তারপরেও বাংলাদেশ ২২ রানে হেরে গেছে।
উল্লেখ করার মতো হলো, এই হারের ভেতরেও ইতিবাচক অনেক কিছুই দেখছেন শহীদ, ‘দুই ইনিংসেই আমরা ইংল্যান্ডকে অলআউট করতে পেরেছি। এখন আমাদের ২০ উইকেট নেয়ার মতো বোলার তৈরী হয়েছে। বোলিংয়ে আগের থেকে অনেক ভাল অবস্থায় আছি আমরা। তবে ম্যাচটা জিততে পারলে আরও ভালো হতো। ’
আগামী ২৮ নভেম্বর ঢাকায় শুরু হচ্ছে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। দলে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা ঢেলে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন শহীদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬
এইচএল/এমআরএম