ঢাকা: বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির পর্যবেক্ষণের পর অবৈধ ঘোষিত পাঁচ বোলারের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কোচ ওয়াহিদুল গনির অধীনে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে চলছে ত্রুটি শোধরানোর কাজ।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ১১ জন বোলারের বিরুদ্ধে উঠেছিল অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ। তাদের মধ্যে বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি ব্রিসবেনের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির ল্যাবে বোলিং পরীক্ষা দিয়ে আইসিসি’র ছাড়পত্র পান।
বোলিং অ্যাকশন ক্যামেরায় ধারণ ও পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর বাকি সাত বোলারের অ্যাকশনে ত্রুটি পায় কমিটি। সেখান থেকে পাঁচজনকে সম্পূর্ণভাবে অবৈধ ও দুইজনকে নির্দিষ্ট কিছু ডেলিভারি বাদে বল করার অনুমতি দেয়া হয়। বৈধতার ছাড়পত্র পান তিন বোলার।
অবৈধ বোলাররা হলেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের মুস্তাফিজুর রহমান, আবাহনীর অমিত কুমার নয়ন, কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের মোহাম্মদ শরিফুল্লাহ, মোহামেডানের ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স এবং লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের আসিফ আহমেদ রাতুল।
রিভিউ কমিটি থেকে বৈধতার ছাড়পত্র পাওয়া তিন বোলার হলেন মইনুল ইসলাম, নাঈম ইসলাম জুনিয়র এবং সঞ্জিত সাহা। এদের মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু ডেলিভারি ছাড়া বোলিং করতে পারবেন স্পিনার রেজাউল করিম রাজিব এবং পেসার সাইফুদ্দিন আহমেদ।
এদিকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাম্পে থাকা ২৩ ক্রিকেটারের মধ্যে তিন স্পিনারের বোলিং অ্যাকশন ক্যামেরায় ধারণ করেছে বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) মিরপুরের একাডেমি মাঠে তিনটি ক্যামেরার সামনে দুই ওভার করে বোলিং করেন বাঁহাতি স্পিনার সিদ্দিকুর রহমান শাওন, সাখাওয়াত হোসেন সিমন ও অফস্পিনার আতিফ হোসেন ধ্রুব।
এ সময় রিভিউ কমিটির সদস্য ও কম্পিউটার অ্যানালিস্ট নাসির আহমেদ নাসু বাংলানিউজকে জানান, ‘কোচের চোখে এ তিন বোলারের অ্যাকশন সন্দেহজনক মনে হওয়ায় এখানে তাদের পাঠিয়েছে। আমরা বোলিং অ্যাকশন ক্যামেরায় ধারণ করলাম। এরপর পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হবে। এটা তো খুবই ভালো উদ্যোগ। কারণ এদের সাথে কোচরা অনেক রকম কাজ করেন। কাজ করার পর যখন হাই লেভেলে গিয়ে ওরা সাসপেক্টেড হয়ে যায় তখন এ কাজ পুরোটাই বৃথা হয়ে যায়। প্লেয়াররাও হতাশ হয়ে যায়। ওভারঅল বিসিবির প্ল্যানিংয়ে একটা ধাক্কা লাগে। ’
জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগে নিষিদ্ধ হন অফস্পিনার সঞ্জিত সাহা। এ বোলারের অনুপস্থিতি কিছুটা দূর্বল করে দেয় বাংলাদেশকে। আগামীতে যেন এমন পরিস্থিতিতে আর পড়তে না হয় সে জন্য সতর্কতা হিসেবে অ্যাকশন পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে বলে জানান নাসু।
আগামী মাসে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ। তার আগেই এ তিন বোলারের অ্যাকশন পরীক্ষার রিপোর্ট জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ২৫ অক্টোবর ২০১৬
এসকে/এমআরপি