মিরপুর থেকে: ‘আমাদের জন্য যেটা ভালো, দলের সঙ্গে বেশি মানানসই হবে তেমন উইকেট হবে বলেই প্রত্যাশা করছি। আমার মনে হয়, ঘরের মাঠের বাড়তি সুবিধা থাকা উচিৎ।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে অনুশীলন শেষে দ্বিতীয় টেস্টকে সামনে রেখে তিনি এমনটি জানান।
সঙ্গতই বলেছেন টাইগার হার্ডহিটার তামিম। কেননা প্রথম টেস্টে দেখা গেছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট পুরোদস্তুর স্পিনবান্ধব। রান পেতে ব্যাটসম্যানদের রীতিমত সংগ্রাম করতে হয়েছে। পাঁচদিনের প্রতিটি দিনই যেন স্পিনারদের সাথে সখ্যতা গড়েছিল চট্টগ্রামের ওই টার্নিং উইকেট। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সংগ্রহের স্বপ্ন টাইগারদের অনেকটাই বিবর্ণ হয়ে গিয়েছে। দিন শেষে ফলাফলটাও গিয়েছে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের থলিতে। স্বাগতিক হয়েও উইকেটের বিমাতাসুলভ আচরণের জন্যই ২২ রানের স্বল্প ব্যবধানে হেরে ঐতিহাসিক জয় বঞ্চিত হয়েছেন মুশফিক-সাকিব-তামিমরা।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোতে সাধারণত স্বাগতিক দেশের খেলোয়াড়দের গুণাগুণ বিচার করেই উইকেট প্রস্তুত করা হয়। চট্টগ্রামেও হয়তো তাই হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে শতভাগ সুবিধা আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। যদিও ব্যাট হাত ঠিকই জ্বলে উঠেছিলেন তামিম।
তার ব্যক্তিগত ৭৮ রানে প্রথম ইনিংসে ইংলিশদের বিপক্ষে ২৪৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তারপরেও ওই উইকেট প্রতিবন্ধকতার কারণেই জয়ের শেষ হাসি হাসতে পারেনি বাংলাদেশ। তাই ঢাকা টেস্টে উইকেটের পরিবর্তন চাওয়াটা অবান্তর কিছু না।
তবে চ্যালেঞ্জ কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। কেননা চট্টগ্রামের মত স্পিনবান্ধব উইকেট হলে টাইগার ব্যাটসম্যানদের যেমন গ্যারেথ ব্যাটি, আদিল রশিদ ও মঈন আলীদের ঘূর্ণি সামলাতে হবে। তেমনি পেস সহায়ক হলে সামলাতে হবে অভিজ্ঞ স্টুয়ার্ট ব্রড, ক্রিস ওকস ও বেন স্টোকসদের পেস তোপ। তাই এখন দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মিরপুরের উইকেট কতটা স্বাগতিক বান্ধব হয়।
সেটা হোক বা না হোক, ঢাকা টেস্টে অন্তত চট্টগ্রামের চাইতেও বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামতে চাইছেন তামিম। ‘চট্টগ্রামে আমরা একটা ভালো ম্যাচ খেলেছি। এই টেস্টে আমরা আগের চেয়ে ভালো প্রস্তুত থাকবো, আত্মবিশ্বাসীও থাকবো। ’
প্রায় ১৫ মাস পরে টেস্ট খেলতে নেমেও অসাধারণ বীরত্ব দেখিয়েছে বাংলাদেশ। বারবার পিছিয়ে পড়েও দেখা গেছে টাইগারদের চমকে দেয়া উত্তরণ! সাব্বিরের ক্ষুরধার ব্যাটে জয়ের জন্য মাত্র ৩৩ রান টপকানোর স্বপ্নে নির্ঘুম রাত কেটেছে ১৬ কোটি বাংলাদেশির। আর এই বিষয়গুলোকেই হারের মাঝেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তামিম ইকবাল।
‘১৫ মাস পর টেস্ট খেলা খুব সহজ কাজ নয়। খুব ভালো ম্যাচ খেলেছি বলে সহজ হয়ে গেছে। দল হিসেবে আমরা ভাল করেছি। আগামী ৬ মাসে বেশ কয়েকটা ম্যাচ আছে। চট্টগ্রাম টেস্টে যে ছন্দ পেয়েছি আশা করি সামনেও এই ছন্দটা ধরে রাখতে পারবো। ’ যোগ করেন তামিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, ২৬ অক্টোবর, ২০১৬
এইচএল/এমএমএস