ঢাকা: চিটাগাং ভাইকিংস, ঢাকা ডায়নামাইটস, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্কোয়াড দেখে আফসোস হতেই পারে খুলনা টাইটানসের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। কেননা তার দলটিতে দেশি-বিদেশি তারকা ক্রিকেটার তেমন নেই বললেই চলে।
সাদামাটা দল নিয়েই লড়তে হবে খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে। এজন্য চ্যালেঞ্জটা একটু বেশি রিয়াদের। মাহমুদউল্লাহ চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন। গত আসরে সাদামাটা দল নিয়েই রানার্সআপ করেছিলেন বরিশাল বুলকে। এবার খুলনা টাইটানসকে দেখতে চান ফাইনালে।
বিপিএলের প্রস্তুতি, দল, লক্ষ্য ও নেতৃত্ব নিয়ে মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলনের পর কথা বলেছেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। পাঠকদের জন্য প্রশ্নোত্তর আকারে প্রকাশিত হলো রিয়াদের কথাগুলো।
প্রশ্ন: দলে তেমন বড় মুখ নেই। আপনাদের এবার হয়তো কেউ ফেবারিট বলবে না। গতবার এমন দল নিয়েই ফাইনাল খেলেছিলেন এমন ধরনের দলে নেতৃত্ব দিতে কি সুবিধা হয়?
মাহমুদউল্লাহ: সুবিধা হয় না। এটা একটা ভালো চ্যালেঞ্জ। আমাদের দলে ওরকম বড় নাম নেই। কিন্তু দিন শেষে পারফরম্যান্সই কথা বলবে। আমরা যদি দল হিসেবে ভালো করতে পারি, অলরাউন্ড স্কিলগুলো শো করতে পারি, আশা করতে পারি এবারও ভালো কিছুর সম্ভাবনা থাকবে।
প্রশ্ন: গতবার বরিশালকে রানার্সআপ করেছেন। এবার খুলনাকে নিশ্চয়ই চ্যাম্পিয়ন দেখতে চাইবেন?
মাহমুদউল্লাহ: অবশ্যই এটা তো লক্ষ্য থাকেই। এটা এমন একটা ফরম্যাট যেখানে ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলা কঠিন। আপনি হারবেন, জিতবেন। তবে শক্ত থাকতে হবে। আপনার যে দুর্বল জায়গা আছে সেগুলো আপনি জেনে এবং শক্তিশালী জায়গাগুলোতে যদি আপনি ফোকাস করতে পারেন তাহলে ভালো একটা ফল আনতে এটা কাজে দিবে।
প্রশ্ন: আপনার দলের শক্তি ও দুর্বলতা কোথায়?
মাহমুদউল্লাহ: এ মুহূর্তে আমি দুর্বল জায়গা দেখছি না। টুর্নামেন্ট যেতে যেতে এগুলো সামনে আসবে। এ মুহূর্তে দলটা বেশ ব্যালেন্স মনে হচ্ছে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার আছে, স্পিনার আছে, লেগ স্পিনার আছে, অফ স্পিনার আছে। ভালো ব্যাটসম্যানও আছে। আমাদের দেশীয় ক্রিকেটারদের কালেকশন ভালো হয়েছে। ভালো খেলাটাই এখন মূল লক্ষ্য।
প্রশ্ন: প্রতিপক্ষ হিসেবে কাদের এগিয়ে রাখবেন?
মাহমুদউল্লাহ: আমি একটা জিনিস সব সময় বিশ্বাস করি, আমি যদি আমাদের মূল ও নিজেদের ক্রিকেটাকে নিয়ে বেশি চিন্তা করি, বেশি ফোকাস থাকি তাহলে কাজটা সহজ হবে। প্রতিপক্ষ হিসেবে সব দলই ভালো দল। আপনার মাঠে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। কঠিন সময়ে যদি আপনি নিজে স্থির থেকে সঠিক সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারেন তখনই ভালো ফল আসবে।
প্রশ্ন: টুর্নামেন্টে কীভাবে এগোতে চান?
মাহমুদউল্লাহ: আমি এরকম দলকে অধিনায়কত্ব করতে উপভোগ করি। ঢাকা, চিটাগং, কুমিল্লা দলে বড় বড় নাম আছে। আরও বড় বড় খেলোয়াড় আছে। আমি গত বছরই এটা ফিল করেছি, ‘ইফ ইউ পারফর্ম এন দ্য পার্টিকুলার ডে নো বডি উইল বিট ইউ’। আমার এটাই লক্ষ্য থাকে। চেষ্টা করব এভাবেই যেন টুর্নামেন্টে এগুতে পারি।
প্রশ্ন: চ্যাম্পিয়নশিপের ব্যাপারে কাদের এগিয়ে রাখবেন?
মাহমুদউল্লাহ: চ্যাম্পিয়নশিপের দাবিদার প্রায় সবগুলো দলই। সাতটা দলই এ লক্ষ্যেই নামবে। তবে ভালো ক্রিকেট খেলাটাই মূল লক্ষ্য।
প্রশ্ন: ব্যক্তিগত লক্ষ্য কী থাকবে?
মাহমুদউল্লাহ: দল যেভাবে চায়, টিম কম্বিনেশন যেভাবে চায়...। অধিনায়ক হিসেবে আমারও কিছু দায়িত্ব থাকবে। দায়িত্ব অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করবো। দলের যদি চাহিদা থাকে অতি আক্রমণাত্মক খেলতে, তাহলে সেভাবেই খেলবো। যদি দলের চাহিদা থাকে দেখেশুনে খেলা, তাহলে সেভাবেই খেলতে চেষ্টা করবো।
প্রশ্ন: ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করা কতটা চ্যালেঞ্জের?
মাহমুদউল্লাহ: ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করা তখনই সহজ হয় যখন আপনার খেলোয়াড়রা পারফর্ম করবে। এই বিশ্বাসটা যদি আপনি খেলোয়াড়দের দিতে পারেন, স্বাধীনতা দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। এ জিনিসটা আমি সব সময় বিশ্বাস করি। আমি চাই আমার ক্রিকেটাররা সব সময় এটা বিশ্বাস করেই খেলুক। হ্যাপি ড্রেসিং রুম যেরকম চায় সেরকম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, ০৮ নভেম্বর ২০১৬
এসকে/এমআরপি