ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ইতিহাস গড়া হলো না পাকিস্তানের

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
ইতিহাস গড়া হলো না পাকিস্তানের ছবি: সংগৃহীত

ইতিহাস গড়ার হাতছানি দিচ্ছিল পাকিস্তানকে। কিন্তু, কাছাকাছি এসেও হলো না! ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত লড়াইয়ের পর ৩৯ রানের আক্ষেপে ব্রিসবেনে দিবারাত্রির টেস্ট শেষ করলো তারা। ৪৯০ রানের লক্ষ্যে আসাদ শফিকের অসাধারণ নৈপুণ্যে ৪৫০-এ থামে পাকিস্তানের ইনিংস। স্বস্তির জয়ই পায় অস্ট্রেলিয়া।

ঢাকা: ইতিহাস গড়ার হাতছানি দিচ্ছিল পাকিস্তানকে। কিন্তু, কাছাকাছি এসেও হলো না! ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত লড়াইয়ের পর ৩৯ রানের আক্ষেপে ব্রিসবেনে দিবারাত্রির টেস্ট শেষ করলো তারা।

৪৯০ রানের লক্ষ্যে আসাদ শফিকের অসাধারণ নৈপুণ্যে ৪৫০-এ থামে পাকিস্তানের ইনিংস। স্বস্তির জয়ই পায় অস্ট্রেলিয়া।

মিচেল স্টার্কের করা ১৪৫তম ওভারের বাউন্সি বলে ব্যাটের নিয়ন্ত্রণ হারান আসাদ শফিক। ক্যাচটি তালুবন্দি করেন ডেভিড ওয়ার্নার। সফরকারীদের আশার প্রদীপকে ফিরিয়ে উল্লাসে মাতে অজিরা। তখনো শেষ ভরসা হয়ে ছিলেন ইয়াসির শাহ (৩৩)। কিন্তু ওই ওভারের শেষ বলে তার রানআউটের মধ্য দিয়ে রেকর্ডময় ম্যাচটির সমাপ্তি ঘটে।

তার আগে আট উইকেটে ৩৮২ রান (১২৩ ওভার) নিয়ে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) পঞ্চম ও শেষ দিনের ব্যাটিংয়ে নামেন সেঞ্চুরিয়ান শফিক ও ইয়াসির। দু’জন মিলে আরো ২২ ওভার ব্যাটিং করে পাকিস্তানকে জয়ের স্বপ্নই দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন স্টিভেন স্মিথরা। শফিক-ইয়াসিরের নবম উইকেট জুটিতে আসে ৭১।

...

একাই চারটি উইকেট দখল করেন স্টার্ক। জ্যাকসন বার্ড তিনটি ও বাকি দু’টি নেন নাথান লিওন।

ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্টে ১৩৭ রানের (২০৭ বল) অবিস্মরণীয় এক ইনিংস উপহার দেন শফিক। টেস্ট ইতিহাসে ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক (৯টি) সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন তিনি। ছাড়িয়ে যান ক্যারিবীয় কিংবদন্তি গ্যারি সোবার্সকে। যিনি একই পজিশনে খেলে আটটি সেঞ্চুরি করেছিলেন।

লড়াই করে হেরে যাওয়া পাকিস্তানের প্রাপ্তিও কম নয়। বেশ কয়েকটি রেকর্ডে পাতায় জায়গা করে নিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেট পরাশক্তিরা। ব্রিসবেনে চতুর্থ ইনিংসে আগের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩৭০ (ইংল্যান্ড, ২০০৬-০৭ অ্যাশেজ)। আর অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো গ্রাউন্ডে সর্বোচ্চ ৪৪৫ রান করেছিল ভারত (অ্যাডিলেডে, ১৯৭৭-৭৮)। দু’টি পরিসংখ্যানই অতীত করলো পাকিস্তান।

...

৪০০ রানের অধিক টার্গেটে খেলতে নেমে সবচেয়ে কম ব্যবধানে হারের হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান। ১৯৭৩ সালে ৪৪০ রান করেও ৩৮ রানে হেরে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।

চতুর্থ ইনিংসে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এ তালিকায় শীর্ষ পাঁচটি দলের কেউই জয়ের দেখা পায়নি। সবার উপরে শোভা পাচ্ছে ইংল্যান্ডের নাম। ১৯৩৯ সালে ড্র হওয়া ডারবান টেস্টে তারা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে ৬৫৪ রান করেছিল।

অজিদের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো পাকিস্তান। দুই ইনিংসে তাদের রানের পার্থক্য ৩০৮। আগের সর্বোচ্চ ২৭৭ (রাওয়ালপিন্ডিতে, ২৬০ ও ৫৩৭)।

...

টেস্টে এশিয়ার বাইরে চতুর্থ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ওভার (১৪৫) ব্যাটিং করারও রেকর্ড গড়লো মিসবাহ উল হকের দল। এর আগে ১৯৯০ সালে মেলবোর্নে ১৩৭.৫ ওভার উইকেটে টিকে ছিল পাকিস্তান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস - ৪২৯ (স্মিথ ১৩০, হ্যান্ডসকম্ব ১০৫, রেনশ ৭১, আমির ৪/৩১, ওয়াহাব ৪/২৬)।
অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংস - ২০২/৫ ডিক্লে. (খাজা ৭৪, স্মিথ ৬৩, রাহাত আলী ২/১০)
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস - ১৪২ (সরফরাজ ৫৯, স্টার্ক ৩/১৮, হ্যাজেলউড ৩/১৪, বার্ড ৩/১২)।
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস - ৪৫০ (১৪৫ ওভার, শফিক ১৩৭, ইউনিস ৬৫, আমির ৪৮, ইয়াসির ৩৩, ওয়াহাব ৩০, সরফরাজ ২৪, স্টার্ক ৪/৩৮, বার্ড ৩/৩৩)।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৬
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।