ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

হারের মাঝেও প্রাপ্তি দেখছেন টাইগ্রেস কোচ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
হারের মাঝেও প্রাপ্তি দেখছেন টাইগ্রেস কোচ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

কক্সবাজারে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সফরকারী দলটির বিপক্ষে কোচের প্রত্যাশিত খেলা উপহার দিতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে চারটিতেই হারে স্বাগতিকরা।

সিরিজ শুরুর আগে খোদ কোচই বলেছিলেন ব্যাটিং দৈন্যতা কাটিয়ে এই সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হবে। কোচের সেই প্রত্যাশা এখনও মরিচিকা হয়েই দুলছে।

বাংলাদেশ নারী দল ৪-১ এ সিরিজ হারলেও এই হারের মাঝেই প্রাপ্তি দেখছেন কোচ ডেভিড ক্যাপেল।

এই প্রাপ্তিগুলোর প্রথমটি হলো অধিনায়ক রুমানা আহমেদ, শারমিন আক্তার ও নিগার সুলতানার অনবদ্য ব্যাটিং। দ্বিতীয়টি-সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তৃতীয় উইকেটে রুমানার ও শারমিনের ১২৭ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ ও ২০৬ রানের দলীয় সংগ্রহ। বলে রাখা ভালো ওয়ানডেতে এটি বাংলাদেশ নারী দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। সর্বোচ্চ সংগ্রহটি ২১০ রান, যা ২০১২ সালে ভারতের বিপক্ষে ওদের মাটিতেই।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) মিরপুর একাডেমি মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে রুমানাদের কোচ ক্যাপেল জানান, ‘সিরিজটি থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখতে পেরেছি। প্রথম ম্যাচটি আমরা সতর্কতার সাথে শুরু করেছি কিন্তু ততটা ভালো করতে না পারিনি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আমি তাৎপর্যপূর্ণ কিছু উন্নতি দেখেছি। যেভাবে আমাদের মেয়েরা রান টপকে যাচ্ছিলো সেটা আমাকে ইতিবাচক কিছু ভাবতে শিখিয়েছে। রুমানা আহমেদ ও শারমিনের রেকর্ড জুটিও উল্লেখ করার মতো। ’

তবে এমন প্রাপ্তির মাঝেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৭ রানের হার এখনও পোড়াচ্ছে এই ইংলিশ কোচকে। কেননা প্রোটিয়াদের দেয়া ২২৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রুমানা ও শারমিনের দারুণ ব্যাটিংয়ের পরেও ৮ উইকেটের বিনিময়ে সংগ্রহ করে ২০৬ রান। ক্যাপেল জানান, ‘দ্বিতীয় ম্যাচটি আমরা জিততে পারিনি যা আমাকে কিছুটা হলেও অতৃ্প্ত করেছে। জয়ের জন্য আমাদের যে ১৭ রান দরকার ছিল সেটা অতিক্রম করা উচিৎ ছিল। ’

সেই অতৃপ্তি ক্যাপেল কিছুটা হলেও ঘুচিয়েছেন তৃতীয় ম্যাচের জয় দিয়ে, ‘তৃতীয় ম্যাচে আমাদের ১৬০ রান করলেই হতো, কিন্তু আমরা সেটা পারিনি। তারপরেও ১৩৬ রান করেই আমরা শক্তিশালী দলটিকে হারাতে পেরেছি। এই ম্যাচে আমাদের মেয়েদের পারফরমেন্স ছিল চোখে পড়ার মতো। ’

টাইগ্রেস কোচ আরও যোগ করেন, ‘তবে চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচটি ছিল হতাশার। চতুর্থটিতে ওরা আমাদের বিপক্ষে ২৫১ রান করেছে, যা আমরা অতিক্রম করতে পারিনি। কারণ আমাদের ব্যাটসম্যানরা ইতিবাচক খেলাটি খেলতে পারেনি। জিততে হলে আমাদের ২০ ওভারেই ২০০ রান করা উচিৎ ছিল। আর শেষ ম্যাচে আসল রূপে দেখা গেছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ওই দিন আমরা মোটেও ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি, এমনকি বোলিংয়েও না। ’

তবে আসছে দিনগুলোতে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল আরও এগিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করেন লাল-সবুজের প্রমীলা ক্রিকেটের এই কোচ, ‘আমি বিশ্বাস করি সামনে আমরা আরও ভালো করবো। সেজন্য তাদের আরও অনুশীলন করতে হবে এবং আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ খেলতে হবে। আপনাদেরও অপেক্ষা করতে হবে। কেননা উন্নতির লক্ষ্যে তারাও কঠোর পরিশ্রম করছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ২৬ জানুয়ারি ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।