ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টানা চারটি টেস্ট সিরিজে ডাবল সেঞ্চুরির বিরল রেকর্ড গড়েন কোহলি। ছাড়িয়ে যান অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ও স্বদেশী রাহুল দ্রাবিড়কে।
ব্যক্তিগত ২০৪ রানে কোহলির অনবদ্য ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটে। তাতে ছিল ২৪টি চারের মার। তাইজুল ইসলামের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। এর আগে চতুর্থ উইকেটে অজিঙ্কা রাহানের (৮২) সঙ্গে ২২২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ভারতীয় ব্যাটিং জিনিয়াস।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) তিন উইকেটে ৩৫৬ রান নিয়ে হায়দ্রাবাদ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিকরা। ক্যারিয়ারের ১৬তম টেস্ট সেঞ্চুরিতে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেন কোহলি। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বিদায়ে (৩৪) দলীয় ৫৬৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় ভারত। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে স্লিপে সৌম্য সরকারের তালুবন্দি হন অশ্বিন।
ভারতের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলতে নেমে কঠিন একটি দিনই পার করে বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথম দিনে রানআউট ও ক্যাচ মিসের মাশুল গুণতে হয়! সেঞ্চুরিয়ান মুরালি বিজয় ব্যক্তিগত ৩৫ রানের মাথায় মেহেদী হাসান মিরাজের ‘সৌজন্যে’ নিশ্চিত রানআউট থেকে বেঁচে যান।
এর আগে ইনিংসের প্রথম বলেই লোকেশ রাহুলকে (২) বোল্ড করে দুর্দান্ত কিছুরই আভাস দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু সাবলীল ব্যাটিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন বিজয় ও চেতশ্বর পুজারা। দু’জন মিলে স্কোরবোর্ডে ১৭৮ রান তোলেন।
নতুন জীবন পেয়ে ক্যারিয়ারের নবম টেস্ট সেঞ্চুরি উদযাপন করেন বিজয় (১০৮)। দলীয় ২৩৪ রানে তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। তার আগে ১৭ রানের জন্য শতক বঞ্চিত হন পুজারা। মিরাজের বলে ধরা পড়েন মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।
ভারত একাদশ: মুরালি বিজয়, লোকেশ রাহুল, চেতশ্বর পুজারা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), আজিঙ্কে রাহানে, উমেস যাদব, ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবিন্দ্র জাদেজা, ইশান্ত শর্মা ও ভুবনেশ্বর কুমার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
এমআরএম