এ যেন তার খেলোয়াড়ী জীবনের আরেকটি অধ্যায়। দারুণ রোমাঞ্চিত ছিলেন সানজামুল।
বুধবার (১৫ মার্চ) মিরপুর ক্রিকেট একাডেমি মাঠে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজের সেই রোমাঞ্চের কথা জানালেন এই বাঁহাতি স্পিনার, ‘অনুভুতি প্রকাশের ভাষা আমি খুঁজে পাচ্ছি না। যখন জানতে পারলাম যে আমি জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি তখন খুশিতে আত্মহারা ছিলাম। যখন পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়রা আমাকে ফোন করে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন তখন অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করছিলো। ’
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের গত মৌসুমটা মন্দ কাটেনি সানজামুলের। কম যাননি এবারের বিসিএলেও। সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন এই স্পিনার। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে তার বিধ্বংসী বোলিংয়ের ম্যাচটি। প্রথম ইনিংসে ৩টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৯টি। অর্থাত এক ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে সানজামুল চমকে দিয়েছিলেন সবাইকে।
ঘরোয়া ক্রিকেটের এমন ধাঁরালো পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতাটা তিনি ধরে রাখতে চাইছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও, ‘আমার চেষ্টা থাকবে যে পারফরমেন্সটা ঘরোয়া ক্রিকেটে করেছি সেটা যেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করতে পারি। ’
তবে তার আগে সেরা একাদেশ জায়গা পাওয়াটাকেই নিজের মূল লক্ষ্যে পরিণত করেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তিনি জানান, ‘ব্যক্তিগত লক্ষ্য হলো সেরা একাদশে জায়গা করে নেয়া। ’
আর সেরা একাদশে জায়গা পেলে ভবিষ্যতের জন্য সেই জায়গাটি ধরে রাখতে চেষ্টা করবেন বলে জানালেন সানজামুল, ‘এখন চ্যালেঞ্জ হলো জাতীয় দলে নিজের জায়গাটা ধরে রাখা। আমার লক্ষ্যই থাকবে সেই জায়গাটা ধরে রাখার। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ১৫ মার্চ ২০১৭
এইচএল/এমআরপি