সম্প্রতি লর্ডসে এমসিসি একাদশের মুখোমুখি হয় আফগানিস্তান। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে খেলা বন্ধ থাকার ফাঁকে ৪৩ বছর বয়সী মিসবাহর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।
পাকিস্তানের ২২তম ক্রিকেটার হিসেবে এই সম্মাননা পেলেন মিসবাহ। এর আগে মুশতাক মোহাম্মদ, জহির আব্বাস, ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, হানিফ মোহাম্মদ, জাভেদ মিয়াঁদাদ, সাকলায়েন মুশতাকরা এই সম্মাননা পেয়েছিলেন।
সবশেষ ২০১৫ সালে পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননা পেয়েছিলেন রমিজ রাজা।
পাকিস্তানকে রেকর্ড ৫৬ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন মিসবাহ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষেই জাতীয় দলকে বিদায় জানান তিনি। ২০০১ সালে অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের মধ্যদিয়ে সাদা পোশাকে অভিষেক হয়েছিল মিসবাহ’র। ১৬ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ার গড়া অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান ৭৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে ৪৬.৬২ গড়ে ৫ হাজার ২২২ রান করে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রানের তালিকায় সাতে থাকেন। সাদা পোশাকে তার সেঞ্চুরি আছে ১০টি ও হাফসেঞ্চুরি ৩৯টি।
মিসবাহকে পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক ধরা হয়। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে থেকে অবসর নেন তিনি। আর ২০১২ সালে সর্বশেষ টি-২০ খেলেছিলেন। ওয়ানডেতে খেলেছেন ১৬২টি ম্যাচ, আর টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ৩৯টি ম্যাচ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ১৪ জুলাই ২০১৭
এমআরপি