৫ ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডে ও একটি তিন দিনের ম্যাচের সবক’টিতেই লিটন নেতৃত্বাধীন লাল-সবুজের দল স্বাগতিকদের হারের লজ্জা দিয়ে তবেই দেশে ফিরেছে। সঙ্গত কারণেই দারুণ ফুরফুরে মেজাজে আছেন লিটন।
সিরিজ শেষে দেশে ফিরে জানালেন লাল-সবুজের হাই পারফরম্যান্স দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্বটি তিনি নাকি বেশ ভালই উপভোগ করেছেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে সব সময় খেলি। এবার একটা এক্সটা দায়িত্ব ছিল, ক্যাপ্টেন্সি হ্যান্ডেল করা। এ জিনিসটায় পছন্দেরও একটা ব্যাপার থাকে। ক্যাপ্টেন্সিতে মজার একটি বিষয়। আমি এবার এটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। ’
বৃধবার (১৯ জুলাই) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি এমনটি বলেন।
অস্ট্রেলিয়া সফরে নর্দার্ন টেরিটরির আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে সফরকারী বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বেশ আশা জাগানিয়া। ব্যাট হাতে নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফউদ্দিন ও তরুণ ইরফান শুক্কুরের শতকের পাশাপাশি বোলিংয়ে আবু হায়দার রনি ও তানবির হায়দারের পাঁচ উইকেটের ইনিংসটিও বাংলাদেশ ক্রিকেটের কর্মকর্তাদের বেশ আলোড়িত করেছে।
তবে ব্যাটিংয়ে নিজ দলের আরও ভাল করার সুযোগ ছিল বলে মত অধিনায়ক লিটনের, ‘আমরা আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম। আমরা তিনশ’র বেশি কিন্তু একটি ম্যাচেই করেছি। ’
এই সফর থেকে কী শিখলেন? সংবাদ মাধ্যমরে করা এমন প্রশ্নের জবাবে লিটনের উত্তর, ‘অনেক কিছুই শিখছি। উইকেটের কথাই যদি বলি, ওখানকার উইকেট আর আমাদের উইকেট অনেক ভিন্ন। এটা খেললে বোঝা যায়। আমাদের এখানে কন্ডিশনে সোয়েটিং বেশি হয়। দশ মিনিট খেললেও প্রচুর পরিমাণে শরীর ঘামায়। কিন্তু সেখানে ওটা হয় না। আবার সেখানে প্রচুর পরিমাণে বাতাস থাকে। এটা অনেক সময় পক্ষে থাকে আবার বিপক্ষেও চলে যায়। এগুলো জিনিস খাপ খাইয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ১৯ জুলাই ২০১৭
এইচএল/এমএমএস