এটি বাস্তবের কোনো হামলার ঘটনা নয়। আসন্ন অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সিরিজে এরকম কোনো ঘটনা ঘটলে কিভাবে তা প্রতিরোধ করে ক্রিকেটারদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে তারই মহড়ার অংশ এটি।
মহড়ায় দেখানো হয়-খেলোয়াড়রা হোটেল রেডিসন ব্লু থেকে নেমে গাড়িতে উঠছেন। এসময় হোটেল থেকে নামার জায়গার দুই পাশেই ছিল সোয়াত সদস্যদের সতর্ক অবস্থান। এছাড়া ছড়িয়ে ছিটিয়ে শক্ত অবস্থানে ছিল পুলিশের অন্য সদস্যরাও।
এরপর দুটি দলের বাসের সামনে পেছনে পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে থাকা পুলিশ সদস্যরা নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিয়ে হোটেল থেকে স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে ছুটছেন। যাবার সময় দেওয়ানহাট-একে খান সড়ক ব্যবহার করা হয়। এসময় রেডিসন থেকে দেওয়ানহাট পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল একেবারে বন্ধ ছিল। দেওয়ানহাট থেকে একে খান পর্যন্ত সড়কে ছোট যান চলাচল কিছুটা শিথিল থাকলেও বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। তবে মাঠ থেকে আসার সময় একে খান হয়ে জাকির হোসেন সড়ক দিয়ে জিইসি হয়ে পুনরায় রেডিসন হোটেলে নিয়ে আসা হয়। এই সড়কেও খেলোয়াড়দের বাস চলাকালীন সময় পর্যন্ত গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) দেবদাস ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ-উল-হাসানের নেতৃত্বে মহড়ায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য তো ছিলেনই, ছিলেন পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াতের সদস্যরাও। ফায়ার সার্ভিস ও র্যাব সদস্যরাও অংশ নেন এতে। দুই দলের ক্রিকেটারদের ভূমিকায় ছিলেন নগর পুলিশের খেলোয়াড় দলের সদস্যরা।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এই মহড়া দেখেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা পরামর্শক শিন ক্যারল। তিনি ও প্রতিনিধি দলের আরেক সদস্য হোটেল থেকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম পর্যন্ত সঙ্গে থেকে পরখ করেছেন নিরাপত্তা প্রস্তুতি।
তিনি সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
মহড়া শেষে অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ-উল-হাসান বলেন, ‘রিহার্সেলের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রস্তুতিটা দেখিয়েছি। তবে ঘটনা যে ঘটলে কোন ভাবে ঘটতে পারে তা আমরা কেউ জানি না। রিহার্সেলে যা দেখানো হয়েছে সেটি যে জঙ্গি হামলা তাও আমরা বলিনি। যে কোন ধরনের ঘটনা হতে পারে সড়কে। এরকম কিছু হলে আমাদের কি করণীয় তা আমরা দেখিয়েছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
টিএইচ/আইএসএ/টিসি