ওয়ানডেতে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেটিং পয়েন্ট কীর্তিতে ভাগ বসিয়েছেন কোহলি। ৮৮৭।
সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানস্কোরার রোহিত শর্মা (৩০২, দুই সেঞ্চুরি) ও মহেন্দ্র সিং ধোনি দু’জনই শীর্ষ দশে ফিরেছেন। ধোনির ব্যাট থেকে আসে ১৬২।
বুমরাহ পাঁচ ম্যাচে রেকর্ড ১৫টি উইকেট দখল করেন। শ্রীলঙ্কার মাটিতে একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে যেকোনো বোলারের জন্য সর্বোচ্চ। বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেলও নজর কেড়েছেন। চার ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে ১০ ধাপ এগিয়ে শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছেন। এছাড়া ভারতীয় বোলারদের মধ্যে চোখে পড়ার মতো উন্নতি করেছেন হার্দিক পান্ডে (+২, ৬১তম), কুলদিপ যাদব (+২১, ৮৯) ও যুবেন্দ্র চাহাল (+৫৫, ৯৯)।
লঙ্কানদের মধ্যে অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস তিন বিভাগেই এগিয়েছেন। ব্যাটিংয়ে আছেন চার ধাপ উন্নতিতে ২৩তম অবস্থানে। বোলিংয়ে ১ ধাপ এগিয়ে ৫২ নম্বরে। অলরাউন্ডারদের মধ্যেও ১ ধাপ টপকে উঠে এসেছেন চতুর্থ স্থানে।
ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ায় সরাসরি ২০১৯ বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার দৌড়ে শঙ্কার মুখে শ্রীলঙ্কা। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের র্যাংকিংয়ে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ছাড়া শীর্ষ সাতটি টিমের ওয়ার্ল্ডকাপের মূল পর্ব নিশ্চিত হবে। অন্যদের সামনে বাছাইপর্বের বাধা।
তৃতীয় অবস্থান ধরে রাখা ভারতের ৩ রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সমান ১১৭ হলেও পয়েন্টের ভগ্নাংশ হিসেবে পিছিয়ে থাকা দুইয়ে ওঠা হয়নি। শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা (১১৯)। ১১৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে চারে ইংল্যান্ডে। পাঁচ নম্বরে থাকা নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১১১। শীর্ষ দশে এরপর যথাক্রমে পাকিস্তান (৯৫), বাংলাদেশ (৯৪), শ্রীলঙ্কা (৮৬), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৭৮) ও আফগানিস্তান (৫৪)। হোম সিরিজে ধরাশায়ী লঙ্কানরা ২ রেটিং পয়েন্ট হারিয়েছে। ক্যারিবীয়দের সঙ্গে তাদের ব্যবধান ৮-এ নেমে এসেছে।
শীর্ষ দশ ব্যাটসম্যান: বিরাট কোহলি, ডেভিড ওয়ার্নার, এবি ডি ভিলিয়ার্স, জো রুট, বাবর আজম, কেন উইলিয়ামসন, কুইন্টন ডি কক, ফাফ ডু প্লেসিস, রোহিত শর্মা (+৫), মহেন্দ্র সিং ধোনি (+২)।
শীর্ষ দশ বোলার: জশ হ্যাজলউড, ইমরান তাহির, মিচেল স্টার্ক, জাসপ্রিত বুমরাহ (+২৭), কাগিসো রাবাদা (-১), ট্রেন্ট বোল্ট (-১), হাসান আলী (-১), সুনীল নারাইন (-১), রশিদ খান (-১), অক্ষর প্যাটেল (+১০)।
অলরাউন্ডার: সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ নবী, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (+১), জেমস ফকনার (-১)।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
এমআরএম