উইকেটে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামেন তামিম ইকবাল এবং মুমিনুল হক। এ রিপোর্ট লেখা অবধি বাংলাদেশ তিন উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৫১ রান।
সফরকারীদের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন লিটন দাস এবং ইমরুল কায়েস। ব্যক্তিগত ৭ রান করে কেগিসো রাবাদার লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা মেরে স্লিপে মার্কারামের তালুবন্দি হন ইমরুল। দলীয় ১৬ রানের মাথায় বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায়। ইমরুলের পর বিদায় নেন ২৯ বলে চারটি বাউন্ডারিতে ২৫ রান করা লিটন দাস। মরনে মরকেলের বলে হাশিম আমলার তালুবন্দি হন তিনি। দলীয় ৩৬ রানে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সাময়িক বিপর্যয় সামলে নিয়ে দলকে টেনে তুলতে থাকা দলপতি মুশফিকুর রহিম কেশব মহারাজের বলে মার্কারামের তালুবন্দি হওয়ার আগে ৫৭ বলে সাতটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৪৪ রান। ১০৩ রানের মাথায় টপঅর্ডারের তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রানের নিচে চাপা পড়া বাংলাদেশ ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষ করে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান তুলে।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪৬ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ৪৯৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। তেমবা বাভুমা ৩১ এবং দলপতি ফাফ ডু প্লেসিস ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। অভিষেক ইনিংসেই তরুণ ওপেনার মার্কারাম ৯৭ রান করেন। দলীয় ১৯৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মুমিনুল-মেহেদির প্রচেষ্টায় রান আউট হওয়ার আগে মার্কারাম ১৫২ বল খেলে ১৩টি চারের সাহায্যে তার ইনিংসটি সাজান।
হাশিম আমলা টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরির দেখা পান। দলীয় ৪১১ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় দ. আফ্রিকা। ২০০ বলে ১৭টি চার আর একটি ছক্কায় ১৩৭ রান করে শফিউলের বলে মিরাজের তালুবন্দি হন আমলা। তাতে ভাঙে ২১৫ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। মোস্তাফিজের করা দলীয় ১৩১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বিদায় নেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলা ডিন এলগার। ব্যক্তিগত ১৯৯ রানের (নবম সেঞ্চুরি) মাথায় মুমিনুলের তালুবন্দি হন তিনি। তার আগে ৩৮৮ বলে ১৫টি চার আর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে এলগার তার ইনিংসটি সাজান। দলীয় ৪৪৫ রানের মাথায় এলগারের বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজ ২৭ ওভারে একটি, শফিউল ২৫ ওভারে একটি উইকেট নেন। তাসকিন ২৬ ওভার, স্পিনার মিরাজ ৫৬ ওভার, মাহমুদুল্লাহ ৫ ওভার, মুমিনুল ২ ওভার আর সাব্বির ৫ ওভার বল করেও কোনো উইকেট পাননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
এমআরপি