ঢাকা, রবিবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ২৯ জুন ২০২৫, ০৩ মহররম ১৪৪৭

ক্রিকেট

মুশফিকদের পাশে মাশরাফি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:১১, অক্টোবর ৩, ২০১৭
মুশফিকদের পাশে মাশরাফি ছবি: সংগৃহীত

পচেফস্ট্রুমে সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে সফরকারী বাংলাদেশ ৩২০ রান সংগ্রহ করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দৈন্য ব্যাটিংয়ে গুটিয়ে যায় মাত্র ৯০ রানে। ফলে ম্যাচ শেষে মেনে নিতে হয়েছে ৩৩৩ রানের বড় হার।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা টাইগারদের মুন্ডুপাত করতে এতটুকুও দ্বিধাবোধ করছেন না। অবশ্য তাদের যুক্তিও ফেলে দেয়ার নয়।

দিন-বদলের পালায় বিশ্ব ক্রিকেটে টিম বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই এগিয়ে যাওয়ার সাথে এত স্বল্প রানে গুটিয়ে যাওয়া এবং এমন বড় ব্যবধানে হার ঠিক যেন মানানসই নয়। অনেকটাই অনাকাঙ্খিত।

তবে নিজ দেশের ক্রিকেট ভক্তদের আবেগের সাথে ঠিক যেন একমত হতে পারছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওয়ানেডে দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। তাই আবেগে না ভেসে ভক্তদের বাস্তবতা অনুধাবন করতে উদাত্ত আহবান জানালেন টাইগারদের দিন-বদলের এই দলপতি, ‘আমরা সরাসরি অ্যাকশনের দিকে তাকাই, চারটা দিন যে ছেলেরা লড়াই করেছে সেটা কিন্তু আমরা কেউ বলছি না। হ্যাঁ এটা ঠিক কিছু না কিছু ভুল না করলে এ ইনিংস এমনভাবে ভেঙে পড়তো না। কিন্তু আমরা যদি ঘরে বসে এটুকু বুঝতে না পারি, দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন কী, সেটা দুঃখজনক। তাদের কিসের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে এটা যদি না বুঝতে না পারি তাহলে আমার মনে হয় ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করা ঠিক না। অস্ট্রেলিয়াওতো বাংলাদেশে এসে তিন দিনে হেরে যাচ্ছে। আমরা শুধু জয় আর হারটাই দেখি। ’

ক্রিকেটে এমন স্বল্প রানে অলআউট নতুন কিছু নয় জানিয়ে মাশরাফি আরও বলেন, ‘ক্রিকেটে এমন দিন আসে। এমন ইনিংস কিন্তু ১০ বছর পর হলো। ২০০৭ সালে ১০০ এর নিচে স্কোর ছিল। ১০০ তো না আমাদের আশা ছিল ৭ উইকেট নিয়ে শেষ দিনটা পার করবো। যারা খেলেছে তাদের যদি আপনি প্রশ্ন করেন, তারা আমাদের থেকে, আপনাদের থেকে আরও বেশি হতাশ। ’

সন্দেহাতীতভাবেই এত বড় ব্যবধানের হার দেশের ক্রিকেট ভক্তদের পাশাপাশি টিম ম্যানেজমেন্টতো বটেই হতাশ খোদ ক্রিকেটাররা। কিন্তু হাল ছাড়ার পাত্র মাশরাফি নন। তিনি টেস্ট খেলেননি ঠিকই কিন্তু তাতে কী। সাদা পোশাকের যোদ্ধাদের জন্য তার শুভকামনার এতটুকুও কমতি বরাবরের মতো আজও দেখা গেল না।   

মাশরাফি যোগ করেন, ‘এখানেইতো শেষ না। সামনে ম্যাচ আছে। এই দলটাই কিন্তু টেস্ট ম্যাচ জিতে আমাদের আনন্দ দিয়েছে। আমরা তাদের অনুপ্রাণিত করি, এখান থেকে বসে আরও ভালো কথা কিভাবে বলা যায়, তাদের নিয়ে ইতিবাচক কিছু বলা যায় আসুন সেই চেষ্টা করি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ৩ অক্টোবর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।