বাংলাদেশের দেওয়া ২৫৬ রানের টার্গেট ৪ উইকেট হারিয়ে ২১ বল হাতে রেখে অনায়াসেই টপকে গেছে প্রোটিয়ারা। টাইগার টপঅর্ডার রান পেলে আরও বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়া যেত।
স্বাগতিকদের ওপেনিং জুটিতেই আসে ১৪৭। প্রথম উইকেটের দেখা পেতে ২৬ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। দুই ওপেনার আইডেন মার্করাম ৮২ ও ম্যাথু ব্রিতজকি ৭১ রান করেন। দু’টি টেস্ট খেলা মার্করামের এখনো ওয়ানডে অভিষেক হয়নি। কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই ১৮ বছর বয়সী ব্রিতজকির।
জয় থেকে ২০ রান দূরে থাকতে আউট হন জেপি ডুমিনি (৩৪)। ২৫২ রানের মাথায় আউট হন এবি ডি ডিলিয়ার্স (৪৩)। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা কায়া জোন্ডো ১০ ও হেনরিখ ক্লাসেন ৫ রানে অপরাজিত থেকে সহজ জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
মার্করামকে ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন নাসির হোসেন। ব্রিতজকিকে বোল্ড করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ডুমিনি ও ডি ভিলিয়ার্সকে মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। উইকেটশূন্য থাকেন মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও রুবেল হোসেন।
এর আগে ব্লুমফন্টেইনের মানগাউং ওভালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১ বল বাকি থাকতে সবকটি উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৫৫ রান তোলে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ও সাব্বির রহমান দু’জনই অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন।
দলীয় ৬৩ রানে চার উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়েন সাকিব। ব্যক্তিগত ২১ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্ট সিরিজে বিশ্রামে থাকা সাকিব ৬৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন। ৩৭তম ওভারে ফাঙ্গিসোর বলে ডুমিনির হাতে ধরা পড়েন। দলীয় স্কোর তখন ১৯৬। সাব্বিরের সঙ্গে তার পার্টনারশিপে আসে ৭৬।
সাব্বির ৫২ রানে থামেন। নাসির হোসেন ১২ রান করে আউট হয়ে যান। শেষদিকে মাশরাফি বিন মর্তুজা করেন ১৭। ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। দু’টি করে উইকেট নেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক, মালুসি সিবোতা, এমবুলেলো বুদাজা ও অ্যারন ফাঙ্গিসো। ফাঙ্গিসো ছাড়া কারোরই জাতীয় দেলে অভিষেক হয়নি।
স্কোয়াডে থাকলেও ইনজুরির কারণে তামিম ইকবালকে ছাড়াই মাঠে নামে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকারের সঙ্গী হন ইমরুল কায়েস। ইমরুল ২৭ ও সৌম্য মাত্র ৩ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন। ওয়ানডাউনে নেমে ৮ রানে ফেরেন লিটন দাস। মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ২২। টপঅর্ডারের ব্যর্থতাতেই শুরুটা ভালো হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত বড় স্কোর গড়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
প্রস্তুতি ম্যাচ হওয়ায় ব্যাটিং-বোলিংয়ে সবাইকেই খেলানোর সুযোগ পায় টিম ম্যানেজমেন্ট। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) একাদশকে নেতৃত্ব দেন জেপি ডুমিনি।
আগামী ১৫ অক্টোবর তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে মাঠে গড়াবে। পরবর্তী দুই ম্যাচ ১৮ ও ২২ অক্টোবর। টি-টোয়েন্টি দু’টি ২৬ ও ২৯ অক্টোবর।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, ১২ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরএম