মাশরাফির আগে বাংলাদেশি হিসেবে আরও দু’জন ৫০ বা তার বেশি ম্যাচে লাল-সবুজদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশের সাবেক সফল অধিনায়ক হাবিবুল বাশার এখন পর্যন্ত ৬৯ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে শীর্ষে আছেন।
৩৪ বছর বয়সী মাশরাফি ২০০৯ সালে সর্বপ্রথম অধিনায়ক হিসেবে নিজের নাম লেখান। তবে সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ইনজুরির কারণে প্রথম টেস্টের মাঝেই ছিটকে যান। সেটি আবার তার ক্যারিয়ারে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট ছিলো।
নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত এ তারকার ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটে ২০১০ সালে। সেবার ব্রিস্টলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়টি তার অধীনেই আসে। তবে ইনজুরি আবারও তার ক্যারিয়ারে ব্যাঘাত ঘটায়। ঢাকায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওডিআইতে চোটে পড়েন। ইনজুরিতে দীর্ঘ সময়ের জন্য ছিটকে যান মাশরাফি। তার পরিবর্তে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন সাকিব আল হাসান। পরবর্তীতে ২০১৪ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর পর্যন্ত অধিনায়ক ছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে সেই সফরের পর মুশফিককে সরিয়ে ফের মাশরাফিকে নেতৃত্ব বুঝিয়ে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
এরপরের গল্পটা ইতিহাসের অংশ। ম্যাশের নেতৃত্বে একে একে সফলতা আসতে থাকে বাংলাদেশ শিবিরে। যার শুরুর দিকেই ছিলো ২০১৫ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া। দেশের মাটিতে সিরিজ জিতে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করে টাইগাররা। মাশরাফি দলকে ওয়ানডে র্যাংকিং ৯ থেকে প্রথমবার ৬-এ নিয়ে আসেন (বর্তমানে সপ্তম)।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দলকে ৪৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ২৭টিতে জয় তুলে নিয়েছেন মাশরাফি। হেরেছেন ২০টি ম্যাচে। বাকি দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত। তার জয়ের হার শতকরা ৫৭.৪৪, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা।
দ. আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজে অবশ্য বাংলাদেশ ২-০তে হেরে ইতোমধ্যে সিরিজ খুঁইয়েছে। তবে শেষ ম্যাচ জিততে পারলে মাশরাফির মাইলফলকটি উদযাপন করার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, ২১ অক্টোবর, ২০১৭
এমএমএস