তবে এটা ঠিক বিদেশের মাটিতে বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকায় স্বাগতিক পরাশক্তিদের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের আশাটা উচ্চাভিলাষ বৈকি আর কিছুই নয়।
কিন্তু যে ফরম্যাটে (ওয়ানডে) দেশের পাশাপাশি বিদেশের মাটিতেও এখন লাল-সবুজের জয় নিত্তনৈমত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই ওয়ানডেতেও প্রোটিয়াদের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা নিয়েই সিরিজ শেষ করেছেন মাশরাফিরা।
সেই দুষ্টু চক্র থেকে বেরিয়ে আসতেই জেপি ডুমিনিদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামছেন সাকিব ও তার দল। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ব্লুমফন্টেইনের ম্যাঙ্গায়ুং ওভালে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়।
কিন্তু কাজটি যে সাকিবদের জন্য মোটেও সহজ হবে না সে কথা অনায়াসেই বলা যায়। পরিসংখ্যান স্বাক্ষী দিচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের রেকর্ড শতভাগ। অর্থাৎ এই পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলে সবক’টিতেই জয় তুলে নিয়েছে প্রোটিয়ারা। টাইগাররা কী করেছেন সেটা বলার আর অপেক্ষাই থাকছে না।
একথা অনস্বীকার্য যে ক্রিকেটে অতীত পরিসংখ্যান সবসময় সঠিক আভাশ দেয় না। তার উপরে টি-টোয়েন্টি তো আরও না। কেননা এখানে দুই বা তিনটি বল কিংবা দু’জন প্লেয়ারই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে যথেষ্ট। তাই ক্রিকেটীয় জ্ঞান থেকে ডুমিনিদের শতভাগ নির্ভার থাকাটা বোধ হয় ঠিক হবে না।
তবে তারা জয়ের প্রত্যাশা করতেই পারেন। একেতো কন্ডিশন নিজেদের অনুকূলে। পাশাপাশি টানা দু’টি সিরিজ হারে ভেঙ্গে চুরমা হয়ে সাকিবদের আত্মবিশ্বাস। তার উপরে দলে নেই টাইগারদের দুধর্ষ ওপেনার তামিম ইকবাল। নেই বোলিংয়ের অন্যতম কান্ডারি ও কাটার স্পেশালিস্ট মোস্তাফিজুর রহমানও।
অবশ্য ইনজুরি ছাড় দেয়নি প্রোটিয়াদেরও। তৃতীয় ওয়ানডেতে লোয়ার ব্যাক স্ট্রেইনের ব্যাথায় সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন দলের অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। সন্দেহাতীতভাবেই দলের নির্ভরযোগ্য একজন ব্যাটসম্যান হারিয়েছে দ. আফ্রিকা।
তার জায়গায় ডাক পেয়েছেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। কিন্তু ডু প্লেসিকে হারালেও ততটা নির্ভার কী সাকিবরা থাকতে পারছেন? প্রোটিয়াদের একজন দল থেকে গেলে তার বিকল্প যিনিই আসেন তিনি যেন আরও ক্ষুরধার।
দ্বিতীয় ওয়ানডের পর হাশিম আমলা বিশ্রামে গেলে তার স্থলাভিষিক্ত মার্করাম কী দারুণইনা খেললেন। ১১০ স্ট্রাইক রেটে ৬০ বলে করলেন ৬৬ রান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, ২৫ অক্টোবর ২০১৭
এইচএল/এমএমএস