মাশরাফির সঙ্গে শুভাশিসের তর্জন-গর্জন, সতীর্থ এসেও থামাতে পারছিলেন না তাকে!
সিলেট থেকে: চিটাগং ভাইকিংসের বেঁধে দেওয়া ১৬৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করছিল তখন রংপুর রাইডার্স। ক্রিজের স্ট্রাইকিং প্রান্তে মাশরাফি বিন মুর্তজা, ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলটি ছুড়লেন শুভাশিস রায়। দারুণ ইয়র্কার, ঠেকালেন মাশরাফি। কিন্তু নিজের বল কুড়িয়ে নিয়ে মাশরাফির দিকে ছুড়ে মারতে উদ্যত হন শুভাশিস। হাত ইশারা করে মাশরাফি বলেন, ‘যা’।
আর তাতেই তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন শুভাশিস। তেড়ে যান মাশরাফির দিকে।
অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন রংপুর অধিনায়ক। শুভাশিস তবু থামছিলেন না। নিজের দলেরই সতীর্থরা থামাতে যান শুভাশিসকে। কিন্তু তিনি থামবেন কেন? হাত-পা ছুড়ে তর্জন-গর্জন করতে থাকেন। মাশরাফি হতভম্ব হয়ে যান। শুভাশিসের এই আচরণ গ্যালারিতেও বিস্ময়ের সৃষ্টি করে তখন। হতবিহ্বল হয়ে পড়েন স্বদেশি ক্রিকেটাররা। ঘটনার চেয়ে সম্ভবত এই কারণ যে, ঘটনাটা যার সঙ্গে। দেশের সবচেয়ে অবিসংবাদিত ও জনপ্রিয় ক্রিকেটার-মানুষটার সঙ্গে এমন আচরণ সংবাদকর্মীদেরও চোখে লাগলো।
স্বভাবতই ম্যাচ শেষে সংবাদকর্মীরা প্রশ্ন তুললেন বিষয়টা নিয়ে। মাশরাফি হাসিমুখে জবাব দেন, ‘ঘটনা সিরিয়াস কিছু নয়। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ রকম হয়ে থাকে। সিরিয়াস কিছু নয়। ’
পুরো গ্যালারিই এই ঘটনায় বিচলিত থাকলেও বিনয়ী মাশরাফি সংবাদ সম্মেলনে ফের প্রকাশ করলেন তার ব্যক্তিত্ব। বললেন, ‘আমি মনে করি, আমারই সরি বলা উচিত। ক্রিকেটে এটা হয়ে থাকে। ’দোষটা বরং নিজের কাঁধে নিয়েই টাইগার ওয়ানডে দলের অধিনায়ক বলেন, ‘আমার আরেকটু শান্ত থাকা উচিত ছিল। ও হয়তো ওর জায়গা থেকে ঠিক করেছে। কেননা আমরা উভয়েই তো ম্যাচ জিততে চাই। সিনিয়র হিসেবে হয়তো আমার আরেকটু সংযত থাকা উচিত ছিল। ’
পুরো ঘটনা মাঠে এবং মাঠের বাইরে মাশরাফি যেভাবে সামলালেন, যেভাবে দায় কাঁধে নিতে চাইলেন, তাতে নড়াইল এক্সপ্রেস ফের বোঝালেন, লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের মধ্যে কেন তিনি সেরা, কেন মানুষ হিসেবে সবার হৃদয়ে জায়গা হয়ে গেছে তার।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৭
এনইউ/এইচএ/
আরও পড়ুন
** দুর্দান্ত তাসকিনের কাছেই হেরে গেল রংপুর
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।