না, তিনি বদলে যাননি। বরং নিজের মতোই আছেন।
শনিবার (১১ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে তিনি একথা বলেন।
নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই পা হরকিয়েছিলেন মুমিনুল। তৃতীয় ওভারে মাশরাফির চার নাম্বার বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ডিপ স্কয়ারে। কিন্তু সেখানে দাঁড়ানো রংপুর ফিল্ডার নাজমুল ইসলাম অপু সহজ এই ক্যাচটি নিতে পারেননি। হাতের ভেতরে পড়া বলটি ফেলে দেন।
ব্যাস, ওই শুরু। এরপর রাইডার্সদের কোনো বোলারকেই পাত্তা না দিয়ে দুর্দান্ত ব্যাটে এগিয়ে যান অর্ধশকতের পথে। সেই পথের সমাপ্তি তিনি টানেন ১৩তম ওভারে। লাসিথ মালিঙ্গার শেষ বলটিকে ছয় মেরে তুলে নেন এবারে বিপিএলে নিজের প্রথম অধর্শতক।
মালিঙ্গাকে ৬ মেরে ফিফটি! কতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন? মুমিনুলের নিরুত্তাপ উত্তর, ‘ভেবেছিলাম সীমানার এই পারেই পড়বে। ছয় হয়ে গেছে, শুকরিয়া। ’
বিপিএলের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত কোন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান যা করতে পারেননি তাই এই ম্যাচে করে দেখিয়েছেন মুমিনুল হক। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে অর্ধশতকের কোঠা স্পর্শ করেছেন। আর তার ধারালো ব্যাটে ভর করেই ৮ উইকেটের বড় তো বটেই টুর্নামেন্টের প্রথম জয় তুলে নেয় রাজশাহী কিংস।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ১১ নভেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি