গতকাল দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে দর্শক উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো হলেও প্রথম ম্যাচে ২৬ হাজার ধারণক্ষমতার এই মাঠে সাকুল্যে ৫ হাজার দর্শকও ছিলো না। আজকে প্রথম ম্যাচে দর্শক উপস্থিতি আরও কম।
তাহলে কী তারা বিপিএল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন? তেমনটি বলা যাবে না। এই তো সপ্তাহ খানেক আগে সিলেটে অনুষ্ঠিত বিপিএলে সে কি উত্তেজনা! দর্শকে ঠাসা ছিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পুরো গ্যালারি। প্রতিটি ম্যাচেই ছিল অফুরাণ প্রাণ।
তাহলে ঢাকার গ্যালারির এই অবস্থা কেন? জানতে রোববার (১২ নভেম্বর) কথা হলো শের-ই-বাংলার গ্যালারিতে চিটাগং ভাইকিংস ও খুলনা টাইটান্সের মধ্যকার ম্যাচ দেখতে আসা কয়েকজন দর্শকের সাথে। তাদের মতে, ঢাকায় দর্শক না আসার প্রধান কারণ হলো, ঢাকার স্থানীয়রা মাঠে বসে খেলা দেখে অভ্যস্ত না, তাই তাদের ভেতরে বিপিএল নিয়ে তেমন আগ্রহ কাজ করে না।
ম্যাচগুলোকে যদি শুধু ঢাকায় না রেখে কুমিল্লার খেলা কুমিল্লায়, রাজশাহীর খেলা রাজশাহীতে, খুলনার খেলা খুলনায় অনুষ্ঠিত হতো অর্থাৎ প্রতিটি দলের ম্যাচ যদি স্ব স্ব বিভাগে অনুষ্ঠিত হতো তাহলে নাকি গ্যালারিতে তিল ধারণের জায়গা থাকতো না। উদাহরণ হিসেবে অনেকেই বললেন, ‘দেখেন সিলেটে কিন্তু দর্শকের অভাব ছিল না। ’
দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তারা উল্লেখ করলেন টিকিটের উচ্চ মূল্যের বিষয়টি। বিপিএলের চলতি আসরে টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য করা হয়েছে ২০০ টাকা। যা ব্যয় করে অনেকেই মাঠে এসে খেলা দেখতে চান না। তার ওপরে এই মূল্যের টিকিট নাকি পাওয়াই যাচ্ছে না। পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ টাকা মূল্যের টিকিট। তাদের অভিযোগ, ‘টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য ২০০ টাকা ধার্য করা হলেও তা আমরা পাচ্ছি না। আমরা সবাই ৩০০ টাকার টিকিট দিয়ে খেলা দেখছি। ’
যদি টিকিটের মূল্য কমানো হতো তাহলে দর্শক সমাগম বাড়তো বলে মত তাদের। তাছাড়া বিপিএলে স্কুল কিংবা কলেজের ছাত্র-ছত্রীদের জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়নি বলে জানালেন শের-ই-বাংলায় আগন্তুক এই দর্শকরা। ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয়টি মাথায় রেখে যদি তাদের জন্য বিনামূল্যে কিংবা সুলভ মূল্যে টিকিটের ব্যবস্থা বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল করতে পারতো তাহলেও অন্তত এমন দর্শক খরা চোখে পড়তো না বলে বিশ্বাস এই ক্রিকেট ভক্তদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ১২ নভেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি